shono
Advertisement

Breaking News

Supreme Court

দিনভর শুনানিতেও যোগ্য-অযোগ্য নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নয়, সুপ্রিম কোর্টে ঝুলেই ২৬ হাজারের ভাগ্য

এই মামলার পরবর্তী শুনানি জানুয়ারিতে, প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্নার বেঞ্চেই।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 05:51 PM Dec 19, 2024Updated: 05:51 PM Dec 19, 2024

সোমনাথ রায়, নয়াদিল্লি: শীর্ষ আদালতে দিনভর শুনানির পরও যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থী বাছাই নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হল না। ফলে এসএসসি-তে ২৬ হাজার চাকরিপ্রার্থীর ভবিষ্যৎ ঝুলেই রইল। প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ও বিচারপতি সঞ্জয় কুমারের বেঞ্চে পরবর্তী শুনানি জানুয়ারি মাসে। তবে সুপ্রিম কোর্ট ইঙ্গিত দিয়ে রেখেছে, যোগ্য-অযোগ্য প্রার্থী বাছাই না হলে ২০১৬ সালের গোটা প্যানেলই বাতিল করে দেওয়া হবে। এদিন ওএমআর শিট, 'সুপার নিউমেরারি' পোস্ট সংক্রান্ত বিষয়ে শীর্ষ আদালতের একগুচ্ছ প্রশ্নের মুখে পড়ে সিবিআই, এসএসসি ও রাজ্যের আইনজীবী।

Advertisement

বৃহস্পতিবার শুনানির শুরুতেই প্রধান বিচারপতি সঞ্জীব খান্না ২০১৬ সালের এসএসসি নিয়োগের ক্ষেত্রে নম্বর কারচুপির প্রসঙ্গ তোলেন। লিখিত পরীক্ষায় নম্বর বৃদ্ধি করা হয়েছে বলে উল্লেখ করে প্রধান বিচারপতি রাজ্যের আইনজীবীর কাছে জানতে চান, যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রার্থীদের বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কী ভূমিকা নেওয়া হচ্ছে। রাজ্যের আইনজীবী জানান, যোগ্য এবং অযোগ্য বাছাইয়ে তাঁদের সমর্থন রয়েছে। নিজেদের সিদ্ধান্তের ব্যাখ্যা দিয়ে তাঁর সংযোজন, তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই এনিয়ে আলাদা আলাদা তথ্য দিয়েছে। অন্যদিকে, এসএসসির আইনজীবী আদালতে জানান, নিয়োগ তালিকায় থাকা যোগ্য এবং অযোগ্য চাকরিপ্রাপকদের বাছাই করা সম্ভব। তাহলে তা কেন করা হয়নি? এই প্রশ্ন তোলেন প্রধান বিচারপতি।

প্রশ্ন তোলা হয়েছে ওএমআর শিট সংরক্ষণ নিয়েও। প্রধান বিচারপতি জানতে চান, ওএমআর শিট কি নষ্ট করা হয়েছিল? নষ্ট করলেও তা কত দিনের মধ্যে? রাজ্যের আইনজীবীরা জানান, একবছর পর ওএমআর শিট নষ্ট করা হয়। তাতে প্রধান বিচারপতির মন্তব্য, “সাধারণভাবে এটা ঠিক নয়। কেউ ওএমআর শিটের মিরর ইমেজ সংরক্ষণ করে রাখেনি। এসএসসি করেনি। তারা দায়িত্ব দিয়েছিল নাইসাকে। তারাও করেনি। নাইসা আবার স্ক্যানটেককে তথ্য দেয়। তারাও সংরক্ষণ করেনি। স্ক্যানটেক স্ক্যান করেই ছেড়ে দিয়েছিল।” প্রধান বিচারপতি বলেন, “অনেক কিছু গোপন করা হয়েছে। একটা জিনিস পরিষ্কার, আসল এবং স্ক্যান ওএমআর শিট একই নয়।” তবে এত সওয়াল-জবাবের পর সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতির বেঞ্চের বক্তব্য একটাই। যোগ্য ও অযোগ্যদের তালিকা পৃথক করতেই হবে। জানুয়ারি মাসে এই বেঞ্চেই ফের শুনানি।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement