সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শুরুটা হয়েছিল গাড়ি পার্কিং নিয়ে বচসার জেরে। তারপর কেটে গিয়েছে তিনটি দিন। কিন্তু, এখনও পর্যন্ত সমাধান হওয়া তো দূরের কথা ক্রমশই বাড়ছে পুলিশ ও আইনজীবীদের মধ্যে সংঘর্ষের উত্তাপ। একদিকে তিস হাজারিতে সহকর্মীদের উপর হামলার প্রতিবাদে কর্মবিরতি পালন করছেন দিল্লির আইনজীবীদের একাংশ। অন্যদিকে মঙ্গলবার সকাল থেকেই সদর দপ্তরের সামনে নিজেদের নিরাপত্তার দাবিতে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছেন দিল্লি পুলিশের আধিকারিক ও কর্মীরা। আগামী দিনে তিস হাজারি আদালতের মতো ঘটনা ঘটলে পুলিশ কর্মীদের নিরাপত্তাকে দেবে এটাই এখন তাঁদের প্রশ্ন। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের মাথা ঠান্ডা রেখে কাজে যোগ দেওয়ার আরজি জানান দিল্লির পুলিশ কমিশনার অমূল্য পট্টনায়েক।
[আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে সরকার গঠনের জল্পনা উসকে রাজভবনে যাচ্ছে শিব সেনা-এনসিপি]
এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমি সবার কাছে শান্তি বজায় রাখার আরজি জানাব। এই পরিস্থিতিতে শান্তি বজায় রাখার চেষ্টাই করা উচিত। আমাদের কর্তব্য ঠিকঠাক পালন করার পাশাপাশি আইন শাসনের বজায় রাখতে হবে। আমরা প্রত্যেকেই আইনের রক্ষাকর্তা। তাই সবসময় রাজধানীর শান্তিশৃঙ্খলা বজায় রাখার চেষ্টা আমাদের করেই যেতে হবে। গত কিছুদিন ধরে রাজধানীতে ঘটে যাওয়া কিছু ঘটনা খুব ঠান্ডা মাথায় নিয়ন্ত্রণ করেছি আমরা। এই পরিস্থিতিরও খুব দ্রুত উন্নতি হচ্ছে।’
যদিও পুলিশ কমিশনারের এই বক্তব্যে খুশি হতে দেখা যায়নি বিক্ষোভরত পুলিশ কর্মীদের। গত শনিবার বিকেলে তিস হাজারি আদালতে আইনজীবীদের সঙ্গে সংর্ঘষের পর কমিশনারের আচরণে ক্ষুদ্ধ তাঁরা। বিষয়টি নিয়ে দুদিন ধরে চাপানউতোর চললেও তিনি কোনও ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে অভিযোগ। পাশাপাশি হাসপাতালের ভরতি জখম পুলিশ কর্মীদের দেখতে যাননি অমূল্য পট্টনায়েক। তাই রাগ আরও বেড়েছে। এর প্রমাণ পাওয়া গেল মঙ্গলবারের বিক্ষোভে। প্রতিবাদে সামিল পুলিশ কর্মীরা বিভিন্ন ধরনের পোস্টার হাতে নিয়ে স্লোগান তুললেন, ‘আমাদের পুলিশ কমিশনার ক্যায়সা হো, কিরণ বেদি জ্যায়সা হো।’ তাঁদের কারও কারও হাতে থাকা পোস্টারে লেখা ছিল, ‘হাউ ইজ দ্য জোশ? লো স্যার।’ কোনটাতে ছিল, ‘পুলিশকে বাঁচান।’
[আরও পড়ুন:৩০ নভেম্বর থেকে একগুচ্ছ পলিসি বন্ধ করতে চলেছে LIC]
আইনজীবীদের সঙ্গে এই টানাপোড়েনের মাঝেই পুলিশের স্বপক্ষে টুইট করে বির্তক তৈরি করেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কিরণ রিজিজু। পুলিশ কর্মীরা নিজেদের জীবন বিপন্ন করে কর্তব্য করলেও ধন্যবাদ পান না বলে অভিযোগ করেন। উলটে তাঁদের অপমানের শিকার হতে হয় বলেও উল্লেখ করেন। যদিও আইনজীবীদের সঙ্গে গন্ডগোল তিনি কোনও মন্তব্য করেননি। তবে টুইটটি নিয়ে বিতর্ক হতে ও মঙ্গলবার হেড কোয়ার্টারের সামনে পুলিশ কর্মীরা বিক্ষোভ শুরু করার পর টুইটটি ডিলিট করে দেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী।
The post সদর দপ্তরের বাইরে বিক্ষোভ দিল্লির পুলিশ কর্মীদের, কাজে ফেরার আর্জি কমিশনারের appeared first on Sangbad Pratidin.