সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: বিতর্ক এড়াতে তরুণ কংগ্রেস (Congress) নেতা কৌস্তভ বাগচিকে ছাত্র পরিষদের অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। যদিও কৌস্তভ (Kaustav Bagchi) জানিয়েছিলেন, তিনি যাবেনই। সেই কথা অক্ষরে অক্ষরে রেখে সোমবার মহাজাতি সদনে ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠানে জোর করেই ঢুকলেন কৌস্তভ। প্রবেশের সময়ে তাঁকে বাধা দেওয়া হয়। তবে ধাক্কাধাক্কি করে, বাধা পেরিয়ে সোজা অনুষ্ঠান মঞ্চে পৌঁছে যান তরুণ নেতা। কিন্তু তিনি বেরনোর মুখে আবার বিক্ষোভ শুরু হয়। ব্যাপক ধস্তাধস্তি হয়। কৌস্তভের অভিযোগ, তাঁকে মারার চক্রান্ত করা হয়েছে। সবমিলিয়ে যথেষ্ট অশান্তির সাক্ষী রইল ছাত্র পরিষদের (CP) প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান।
গত বছর এই অনুষ্ঠান থেকেই নানা বিতর্কিত কথা বলে কংগ্রেস হাইকমান্ডকে প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়ে, সভা ভণ্ডুলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল দলের তরুণ নেতার বিরুদ্ধে। তৃণমূলের প্রতি নিজের দলের নরম মনোভাবই ছিল তাঁর আপত্তির বিষয়। এবারও তিনি তেমন কিছু ঘটাতে পারেন, এই আশঙ্কায় কৌস্তভকে অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণই জানানো হয়নি। তা হাইকমান্ডের নির্দেশে বলেই জানা যায়। কিন্তু কৌস্তভ সাফ জানিয়েছিলেন, “পার্টিটা কারও সম্পত্তি না। আমন্ত্রণ জানানো হয়নি ঠিকই। কিন্তু আমি যাবই। দেখি কে কী বলে। ঝামেলা করলে পালটা ঝামেলা হবে। কে কাকে সন্তুষ্ট করতে এসব করছে, সব জানি।”
[আরও পড়ুন: চাঁদের মাটিতে প্রথম বাধা টপকাল প্রজ্ঞান, উচ্ছ্বসিত ইসরোর বিজ্ঞানীরা]
সেইমতোই তিনি অনুষ্ঠানের আগে মহাজাতি সদনে পৌঁছে যান কৌস্তভ বাগচী। তাঁকে বাধা দেওয়া হয় গেটের মুখে। ধাক্কাধাক্কি করে তিনি তখনকার মতো ভিতরে ঢুকে যান। মঞ্চে উঠে বসেন। সেসময় সেখানে ছিলেন না প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী (Adhir Ranjan Chowdhury)। অনুষ্ঠান শেষ হওয়ার আগেই কৌস্তভ বেরিয়ে যান। গেটের কাছে ফের তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখান ছাত্র পরিষদের সদস্যরা। ব্যাপক অশান্তি শুরু হয়। হাতাহাতিতেও জড়িয়ে পড়েন কৌস্তভ। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, ”আমাকে মারার চক্রান্ত ছিল। কিন্তু তা করতে না পেরে আমার সঙ্গে থাকা ছেলেদের মারধর করেছে। এসব তৃণমূলের কাজ।” এ বিষয়ে অধীর চৌধুরীকে প্রশ্ন করা হলে ‘কিছু জানি না’ বলে তিনি এড়িয়ে যান।
[আরও পড়ুন: পেটের টানে কাজে যাওয়াই কাল, দত্তপুকুর বিস্ফোরণে মৃত মুর্শিদাবাদের ৫]
এনিয়ে তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) পালটা প্রতিক্রিয়া, ”নেড়ার মাথায় নিজের বাড়ির বেল পড়েছে। আবার বলছে তৃণমূল মেরেছে! ত্রিসীমানায় নাম নেই। দলের লোকেরাই ওকে সহ্য করতে পারে না। আবার বলছে, ন্যায় বিচার চাই। মাথার চুল তো কাটা হয়ে গেছে। এবার বিচার চেয়ে কী করবে?”