সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চতুর্থ একদিনের ম্যাচেও ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের দাপট। ধাওয়ানের সেঞ্চুরি, বিরাটের পঁচাত্তরে সাত উইকেটে ২৮৯ রান তুলল টিম ইন্ডিয়া।
[তেরঙা ঠিক করুন, ভারতীয় ফ্যানকে পরামর্শ দিয়ে মন জয় আফ্রিদির]
ম্যাচ জিতলেই প্রথমবার দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে সিরিজ জয়ের হাতছানি। এমন পরিস্থিতিতে এদিন জোহানেসবার্গে টসে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন কোহলি। ব্যাট করতে নেমে ঝড় তোলেন ধাওয়ান। শততম একদিনের ম্যাচে শতরান করলেন গব্বর। বিশ্বের অষ্টম ব্যাটসম্যান হিসাবে এ নজির গড়লেন ধাওয়ান। এটি শিখরের ওয়ান ডে কেরিয়ারের ১৩ তম সেঞ্চুরি। শুরু থেকেই তিনি চালিয়ে খেলেন। শেষ পর্যন্ত ধাওয়ান ১০৯ রানে আউট হন। তবে বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ বলছেন আরও বড় রান করতে পারতেন তিনি। ৩৪ তম ওভারে আচমকা বাজ পড়তে থাকে। এর জন্য প্রায় ৪৫ মিনিট খেলা বন্ধ থাকে। বিরতির পর মাঠে নামলেও ধাওয়ানকে সেই মেজাজে পাওয়া যায়নি। দ্রুত আউট হন তিনি।
এদিন কোহলির সঙ্গে তাঁর দ্বিতীয় উইকেটে পার্টনারশিপ ছিল দুরন্ত। এই জুটিতে ১৫৮ রান ওঠে। কোহলির পর ব্যাট হাতে এই সিরিজে ধাওয়ানই সবথেকে ধারাবাহিক। প্রথম একদিনের ম্যাচ বাদ দিলে পরপর তিনটি ম্যাচে দু’জনের জুটি টেনে নিয়ে যাচ্ছে ভারতকে। এদিনও ব্যর্থ হন আর এক ওপেনার রোহিত শর্মা। ধাওয়ানের সঙ্গে কোহলি জোহানেসবার্গে যেভাবে খেলছিলেন তাতে ৩৫ তম সেঞ্চুরি যেন তাঁর বাঁধা ছিল। ড্রাইভ, পুলে একেবারে চেনা বিরাট। ক্রিস মরিসের বলে আচমকা ছন্দপতন। কভারে তাঁর শট যখন মিলারের হাতে ধরা পড়ে তখন কার্যত হতাশ হন ভারতীয় অধিনায়ক। ৭৫ রানে থামতে হয় তাঁকে। বিরাটের হাবভাবে বোঝা যায় আরও একটি সেঞ্চুরি ফেলে এলেন। বিরাট, ধাওয়ানের পর অন্য ব্যাটসম্যানরা তেমন বড় রান করতে পারেননি। শেষ দিকে চালিয়ে খেলে ধোনি ৪১ রানে অপরাজিত থাকেন।
সিরিজ বাঁচানোর ম্যাচে ফেরানো হয় ডিভিলিয়ার্সকে। এদিন দক্ষিণ আফ্রিকার জার্সির রং পালটে গোলাপি হলেও খেলায় অবশ্য তেমন প্রভাব পড়েনি। মর্কেল, লু্ঙ্গি, রাবাডারা ধাওয়ান, কোহলিকে চাপে ফেলতে পারেননি। শেষ দিকে অবশ্য দক্ষিণ আফ্রিকার পেসাররা ভাল বল করেন।
[জামাইয়ের শখ জানেন, বিরাটকে অন্যরকম উপহার শ্বশুরের]
The post ধাওয়ান-কোহলি ধামাকা, দক্ষিণ আফ্রিকাকে বড় রানের টার্গেট ভারতের appeared first on Sangbad Pratidin.