শান্তনু কর, জলপাইগুড়ি: ভোটে ভয় ধরাচ্ছে বন্যপ্রাণীদের (Wild Animals) আক্রমণ। ধূপগুড়ির উপনির্বাচন (Dhupguri by-election) যাতে নির্বিঘ্নে হয়, তার জন্য বাড়তি সতর্কতা রয়েছে রাজ্য নির্বাচন দপ্তর। এই বিধানসভা এলাকার মধ্যে পড়ে বানারহাট। তার অনেকটা জঙ্গল এলাকা ও চা বাগান। এখানে বন্যপ্রাণীদের হামলার আশঙ্কা থাকে প্রতি মুহূর্তে। ভোটেও তাই এটা বাড়তি আশঙ্কার। তবে সতর্ক কমিশনও। সোমবার থেকেই নিরাপদে ভোটকর্মীদের পাঠানো হচ্ছে জঙ্গলের ভোটকেন্দ্রগুলিতে। তাঁদের জন্য বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলাশাসক (DM) মৌমিতা গোদারা।
বানারহাট (Banarhat) এলাকায় জঙ্গল থেকে বন্যপ্রাণীদের হানা নতুন কিছু নয়। দিনেদুপুরেও যখন-তখন হাতি কিংবা চিতাবাঘ বেরিয়ে মানুষকে আক্রমণ করেছে, এমন খবর মেলে প্রায়শয়ই। সেই কারণে জঙ্গল সংলগ্ন বেশ কয়েকটি বুথকে আলাদাভাবে ‘স্পর্শকাতর’ (Sensitive) ঘোষণা করে সেই এলাকায় বনকর্মীদের বাড়তি নজরদারির ব্যবস্থা করল জলপাইগুড়ি জেলা নির্বাচন দপ্তর।
[আরও পড়ুন: পণের দাবিতে বধূর উপর লাগাতার অত্যাচার স্বামী ও সতীনের, গায়ে ঢালা হল অ্যাসিড!]
জলপাইগুড়ির নির্বাচন আধিকারিক তথা জেলাশাসক মৌমিতা গোদারা বসু জানান, ”সোমবারের মধ্যে বিভিন্ন ভোটগ্রহণ কেন্দ্রে পৌঁছে যাবেন ভোটকর্মীরা। যে সমস্ত এলাকায় হাতির করিডর (Elephant Corridor) রয়েছে, সেখানে বাড়তি নজরদারির জন্য বনদপ্তরের সঙ্গে কথা হয়েছে। প্রয়োজনে বনকর্মীরা এসকর্ট করে ওই করিডর এলাকা পার করে দেবেন ভোটকর্মীদের। আবার ফেরার সময়েও তাঁদের ওভাবেই ফেরানো হবে। সবদিক থেকে নিরাপত্তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। নির্বিঘ্নে ভোট করাতে আমরা প্রস্তুত।” মঙ্গলবার ধূপগুড়িতে উপনির্বাচন। বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপদ রায়ের মৃত্যুতে উপনির্বাচন হচ্ছে। এই কেন্দ্রে মূলত ত্রিমুখী লড়াই – তৃণমূল, বিজেপি এবং বাম-কংগ্রেস জোটের প্রার্থী লড়বেন। আগামী ৮ সেপ্টেম্বর ভোটগণনা।
দেখুন ভিডিও: