স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতা ফুটবলে আত্মপ্রকাশের দিনেই বাজিমাত ডায়মন্ডহারবার এফসির। কলকাতা লিগের প্রথম ডিভিশনের (Kolkata League) ম্যাচে ক্যালকাটা পোর্ট ট্রাস্টকে ৩-০ গোলে উড়িয়ে দিল তারকা কোচ কিবু ভিকুনার ছেলেরা। সোমবার ডায়মন্ডহারবারের (Diamond Harbour FC) জার্সিতে অভিষেকেই গোল করলেন তুহিন শিকদার এবং সন্দীপ পাত্র। অন্য গোলটি আত্মঘাতী।
সোমবার মহেশতলার বাটা স্টেডিয়াম গ্রাউন্ডে ডায়মন্ডহারবারের খেলা দেখতে ভিড় জমে। হাতে ফ্ল্যাগ নিয়ে গোটা ম্যাচ দলকে উৎসাহ দিয়ে গেলেন গায়ে ডায়মন্ডহারবারের জার্সি পরা সমর্থকরা। তাতেই যেন বাড়তি তাগিদ দেখা গেল অভিষেক দাস, বিক্রমজিৎ সিংদের মধ্যে। খেলা শুরুর মিনিট দুয়েকের মধ্যে এগিয়ে যায় ডায়মন্ডহারবার। বক্সের ডানদিক থেকে সফিক আলি গায়েনের ভাসানো বল পোর্টের এক ফুটবলার ক্লিয়ার করতে গিয়ে গোলে ঢুকিয়ে দেন।
[আরও পড়ুন: বাংলা দলে ফিরছে গুরু-শিষ্য জুটি, হেডস্যর লক্ষ্মী, ব্যাটিং কোচ রামন]
শুরুতেই গোল পেয়ে যাওয়ায় আক্রমণে জোর দেয় ডায়মন্ডহারবার। তারই ফল ১৯ মিনিটে লম্বা শটে ২-০ করেন তুহিন। খেলা শেষের মিনিট খানেক আগে দর্শনীয় ভলিতে সন্দীপের গোল পোর্টের কফিনে শেষ পেরেকটি পুঁতে দেয়। এদিন ভেজা মাঠেও মাটিতে বল রেখে খেলতে দেখা গেল ডায়মন্ডহারবারের ফুটবলারদের। স্প্যানিশ কোচ ভিকুনা (Kibu Vicuna) পাসিং ফুটবল খেলানোর জন্য পরিচিত। তুহিন, সফিকদেরও সেটা দারুণভাবে শিখিয়েছেন তিনি।
প্রথম ম্যাচেই ৩-০ গোলে জয়ে তৃপ্ত ভিকুনা। বললেন, “ছেলেরা ভালই খেলেছে। দীর্ঘদিন ধরে একসঙ্গে অনুশীলন করার ফল পেলাম। বড় জয় সবসময় আনন্দ দেয়।” তবে এখন থেকেই আগামী ম্যাচের কাজ শুরু করতে চাইছেন তিনি। ভিকুনার কথায়, “শুরুতে আমরা ২ গোলে লিড পাই। তবে তারপর পোর্ট আমাদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলেছিল। যে কোনও দলেই উন্নতির অবকাশ থাকে। আমাদেরও রয়েছে। কিছু বিষয় নজরে এসেছে। পরবর্তীতে সেগুলি নিয়ে কাজ করব।”
উন্নতির কথা শোনা গিয়েছে ক্লাব সচিব মানস ভট্টাচার্যের মুখেও। প্রাক্তন তারকার কথায়, “প্রথম ম্যাচে ৩ পয়েন্ট পাওয়া সবসময়ই ইতিবাচক। দলে অভিজ্ঞদের পাশাপাশি নতুন মুখও আছে। সবাই প্রথমবার একসঙ্গে খেলছে। ফলে একটু সময় লাগবেই মানিয়ে নিতে। এদিনের জয় সেকাজে সাহায্য করবে। আজ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ফুটবলার চোটের জন্য ছিল না। ওরা ফিরলে দল আরও ভাল খেলবে।” অন্যদিকে, পোর্টের কোচ রাজীব দে জানিয়েছেন, দল হারলেও ছেলেদের খেলায় তিনি খুশি।