সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অন্ধকার ঘরে অশালীনভাবে ছোঁয়ার চেষ্টা করেছিলেন মালয়ালম সিনেমার পরিচালক রঞ্জিত। এমনই অভিযোগ শ্রীলেখা মিত্রর (Sreelekha Mitra)। এক সংবাদমাধ্যমের সূত্রে খবর প্রকাশ্যে আসতেই তুমুল চাঞ্চল্য। এবার গুঞ্জন, শ্রীলেখার অভিযোগের পরই কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন রঞ্জিত।
সংবাদমাধ্যমকে শ্রীলেখা জানান, মামুতি অভিনীত ‘পালেরি মণিক্যম: ওরু পাথিরাকোলাপাথাকাথিনতে কথা’ সিনেমায় তাঁর অভিনয় করার কথা ছিল। এর জন্যই অভিনেত্রীকে কোচিতে ডাকা হয়েছিল। সেখানে থাকার ব্যবস্থাও ছিল। সকালে সেটে গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে ফটোশুট হয়। কস্টিউম এবং অন্যান্য বিষয়েও আলোচনা হয়। বিকেলে সিনেমা সংক্রান্ত আলোচনার জন্য পরিচালকের বাড়িতে তাঁকে ডাকা হয়েছিল।
[আরও পড়ুন: ‘বেনারসিটা হয়তো…’, তরুণী চিকিৎসকের ভেঙে যাওয়া স্বপ্নের করুণ কাহিনি শ্রুতির পোস্টে]
অভিনেত্রী জানান, তিনি যখন রঞ্জিতের বাড়িতে যান পরিচালক ফোনে কথা বলছিলেন এবং ড্রয়িং রুমে অনেকে ছিলেন। তাঁর অভিযোগ, ইশারায় শ্রীলেখাকে অন্ধকার বেডরুমে ডাকেন রঞ্জিত। ঘরের বারান্দায় দাঁড়িয়ে ছিলেন তিনি। শ্রীলেখা যেতেই তাঁর হাতের চুড়িতে নিয়ে নাড়াচাড়া করতে থাকেন। অভিনেত্রী তখনই সতর্ক হয়ে ওঠেন। কিন্তু তখনও পরিচালকের অভিসন্ধি বুঝে উঠতে পারছিলেন না। কিন্তু এর পর অভিনেত্রীর চুলে আর ঘাড়ে হাত দিতে থাকেন পরিচালক। অভিনেত্রী আর অপেক্ষা করেননি। সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে বেরিয়ে যান।
এই ঘটনার পরই নাকি ছবিতে অভিনয় না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন শ্রীলেখা। এদিকে নিজের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন রঞ্জিত। তাঁর দাবি, চিত্রনাট্যকার শঙ্কর রামাকৃষ্ণণের উপস্থিতিতেই তিনি শ্রীলেখার সঙ্গে কথা বলেছিলেন। গল্প শোনার পর অভিনেত্রী খুশি হয়েছিলেন, কিন্তু পরিচালক নাকি নিজে সংশয়ে ছিলেন শ্রীলেখাকে নেবেন কিনা। যদিও শেষপর্যন্ত চরিত্রটি আর শ্রীলেখা পাননি। পরিচালকের পালটা অভিযোগ, চরিত্র না পেয়েই অভিনেত্রীর এমন অভিযোগ।
তবে এই ঘটনার পরই রঞ্জিতের কেরালা চলচ্চিত্র অ্যাকাডেমির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দেওয়া নিয়ে নতুন করে জলঘোলা হচ্ছে। এমনিতেই জাস্টিস হেমা কমিটির রিপোর্টকে (Justice Hema Committee report) কেন্দ্র করে তোলপাড় মালয়ালম চলচিত্র জগৎ। শোনা যায়, এই রিপোর্টে সেখানকার বিনোদন জগতের একাধিক কাস্টিং কাউচ, যৌন হেনস্তা ও পারিশ্রমিকের বৈষম্যের কথা লেখা রয়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতে শুধু শ্রীলেখা নন, জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক ডক্টর বিজুও রঞ্জিতের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে বলে খবর।