রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: সোনালি গুহ তৃণমূলে (TMC) ফিরে গেলে বিজেপির কোনও ক্ষতি হবে না। ভোটের আগে যাঁরা বিভিন্ন উদ্দেশ্য নিয়ে দলবদল করেছিলেন, তাঁরাই এখন ফিরে যাচ্ছেন। এমনই মনে করেন বিজেপি (BJP) রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। তাঁর কটাক্ষ, এঁদের উদ্দেশ্য সফল হবে না, তা বুঝে এবং প্রকৃত ষোদ্ধার মতো লড়াই করতে ভয় পেয়েই ফের পুরনো দলে ফিরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন দীপেন্দু বিশ্বাস, সোনালি গুহর মতো রাজনৈতিক ব্যক্তিরা। তাতে বিজেপির কোনও ক্ষতিই নেই বলে দাবি দিলীপ ঘোষের।
শনিবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রতি অকুণ্ঠ কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে, উভয়ের অতীত সম্পর্কের কথা তুলে আবেগপ্রবণ একটি টুইট করেন নেত্রীর দীর্ঘদিনের সহযোদ্ধা সোনালি গুহ (Sonali Guha)। যিনি একুশের বিধানসভা লড়াইয়ে টিকিট না পেয়ে অভিমানবশত চলে গিয়েছিলেন বিজেপিতে। সেখানেও অবশ্য প্রার্থী হতে পারেননি। এদিন টুইটারে একটি চিঠি প্রকাশ করে সোনালি আবার দলে ফেরার ইচ্ছাপ্রকাশ করেন। জানান, ভুল করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) ছেড়ে অন্যত্র গিয়ে। শুধু সোনালিই নন, এর আগে আরেক ‘দলবদলু’ নেতা, বসিরহাট দক্ষিণের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক ফুটবলার দীপেন্দু বিশ্বাসও এভাবেই বিজেপি ত্যাগের পর ফের ঘাসফুল শিবিরে আসতে চেয়েছেন। আরও বেশ কয়েকজন তৃণমূল ছেড়ে যাওয়া নেতানেত্রী বিজেপি ছাড়তে পারেন বলে খবর। তাতে কি গেরুয়া শিবিরে কোনও প্রভাবই পড়বে না?
[আরও পড়ুন: বাড়ি যেতে চান শোভন, ছাড়তে নারাজ হাসপাতাল, কী বলছেন বৈশাখী?]
এই প্রশ্নের উত্তরেই দিলীপ ঘোষ (Dilip Ghosh) বলেন, “এঁদের আসাযাওয়াতে সংগঠনের কোনও ক্ষতি হয় না। যাঁরা দলের প্রকৃত সৈনিক, তাঁরা সবসময় লড়াইয়ে থাকেন।” দীপেন্দুকে নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, “অনেকে অনেক রকম উদ্দেশ্য নিয়ে দলে এসেছিলেন। এখন সে সব পূরণ হবে না বুঝতে পেরে চলে যাচ্ছেন। লড়াই করতে ভয় পাচ্ছেন।” তাঁর মতে, এখন বিজেপি কর্মীদের উপরে আক্রমণ চলছে জেলায় জেলায়। শুক্রবারই ঘাটালের বিধায়কের উপরে আক্রমণ হয়েছে। কিন্তু কর্মীদের পাশে যাঁরা থাকার, তাঁরা এখনও আছেন, আগামীতেও থাকবেন। তাই নতুনদের যাওয়াআসা নিয়ে দলের কার্যত কোনও মাথাব্যথা নেই।