সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রেম হয়তো একেই বলে। যে প্রেম জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত টিকে থাকে। বয়স বাড়লেও যে প্রেম হয়ে থাকে চিরসবুজ। ঠিক এরকমই এক শাশ্বত প্রেমের সম্পর্কে আবদ্ধ ছিলেন বলিউডের দুই কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার (Dilip Kumar) ও অভিনেত্রী সায়রা বানু (Saira Banu)। তাঁদের সত্যি প্রেমের গল্প হার মানাতে পারে যে কোনও বলিউড ছবির চিত্রনাট্যকেও।
দিলীপ কুমারের থেকে বয়সে ২২ বছরের ছোট ছিলেন সায়রা বানু। বয়সকে এক পাশে সরিয়ে দিলীপ কুমারকে চুপি চুপি মনও দিয়ে ফেলেছিলেন সায়রা। তবে দিলীপ সাহাব একেবারেই সেটা টের পাননি প্রথমে। ততদিনে শাম্মি কাপুরের বিপরীতে বলিউডে পা দিয়ে ফেলেছেন সায়রা। তাঁর মিষ্টি চেহারা নিয়ে বলিউডে সেই সময় নানা কথা। দিলীপ কুমারেও চোখ এড়িয়ে যায়নি। সায়রার মিষ্টি স্বভাবে অল্প হলেও মন মজেছিল দিলীপ কুমারের। শোনা যায়, প্রথম দেখাতে নাকি সায়রার ভূয়সী প্রশংসা করেছিলেন দিলীপ। আর তা শুনে সায়রা একেবারেই লজ্জায় লাল। সেই প্রথম আলাপের পরেই প্রেমের সূত্রপাত।
১৯৬৬ সালের ১১ অক্টোবর সায়রার সঙ্গে বিয়ে করেন দিলীপ কুমার। তখন সায়রার বয়স ২২, দিলীপ কুমারের ৪৪। দিলীপ কুমার তাঁর বায়োগ্রাফিতে লিখেছিলেন, সায়রার গর্ভে এসেছিল সন্তান। তবে সন্তানধারনের পর সায়রা অসুস্থ হয়ে পড়েন। চিকিৎসক বাঁচাতে পারেনি দিলীপ-সায়রার সন্তানকে। ঠিক এই ঘটনার পরেই দিলীপ কুমার ১৯৮১ সালে ফের বিয়ে করেন। যা কিনা টিকে ছিল মাত্র দু’বছর। প্রেমের টানে ফের সায়রার কাছেই ফিরে আসেন তিনি। বায়োগ্রাফিতে দিলীপ সাহাব জানিয়েছেন, দ্বিতীয় বিয়ের সিদ্ধান্ত আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল ছিল।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত কিংবদন্তি অভিনেতা দিলীপ কুমার]
অন্যদিকে, দিলীপের সংসারে মন দিতেই নিজের কেরিয়ারকে ছেড়ে ছিলেন সায়রা। দিলীপ সাহাবকেই জীবনের মূলমন্ত্র করেছিলেন তিনি। হঠাৎ করে স্বামী ছেড়ে যাওয়ায় ভেঙেও পড়েছিলেন সায়রা। তবে দিলীপের প্রতি ভালবাসা একটুও কমেনি। বরং দিলীপ সাহাবের কথা উঠলেই সায়রা বলতেন দিলীপ কুমার আমার কাছে কোহিনুর। যার প্রেমে সারাজীবন আবদ্ধ থাকব!
বহুদিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন অভিনেতা দিলীপ কুমার। বার্ধক্যজনীত নানা সমস্যায় কাবু হয়েছিলেন তিনি। দিলীপ কুমারের সেবা নিজের হাতেই করতেন সায়রা। খেয়াল রাখতেন সব কিছুর। অনুরাগীদের কাছে নিয়মিত তুলে ধরতেন দিলীপ কুমারের শারীরিক অবস্থার কথা। সায়রার সেই কোহিনুর আজ আর নেই। যা পড়ে রইল, তা সায়রা ও দিলীপ কুমারের এক ম্যাজিকাল লাভ স্টোরি। যা কিনা অনুপ্রাণিত করবে ডেটিংয়ে যুগের ভালবাসাকে।