সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পিঁয়াজের টোপ দেখিয়ে রক্তদান। অথবা বলা যেতে পারে রক্তদানে উৎসাহ দিতে দেওয়া হচ্ছে পিঁয়াজ উপহার দেওয়ার টোপ। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিতর্ক দেখা দিয়েছে গুজরাটের সুরাতে। প্রথম প্রশ্ন, রক্তদানের মতো মহতী উদ্দেশ্যে মানুষ যোগদান করেন স্বেচ্ছায়। সেখানে কেন দেওয়া হবে উপহারের টোপ? দ্বিতীয় প্রশ্ন, রক্তদানের পরিবর্তে এক কেজি পিঁয়াজ কেন? ওষুধ বা ফল বা পুষ্টিকর পথ্যও দেওয়া যেতে পারত। তৃতীয় প্রশ্ন, রক্ত দিন, পিঁয়াজ নিন, এই ব্যবসা করার অধিকার আয়োজকদের কারা দিল?
বাজারে পিঁয়াজের দাম ডবল সেঞ্চুরি হাঁকাচ্ছে। এই অবস্থায় রান্নাঘরে পিঁয়াজ ঢুকবে, তার জো নেই। পিঁয়াজের দামের ঝাঁজে জেরবার দেশবাসী। ওমলেটে পিঁয়াজের বদলে দেওয়া হচ্ছে শসার কুচি। পাঁচতারা হোটেলেও বাড়ন্ত পিঁয়াজ। এ বার রক্তদান শিবিরেও ঢুকে পড়ল পিঁয়াজ। এক ইউনিট রক্ত দেওয়ার বদলে প্রতি রক্তদাতাকে দেওয়া হল এক কেজি পিঁয়াজ। সুরাতের ওম সাই জলারাম নগরে প্রতি বছরের মতো এই বছরও আয়োজন করা হয়েছিল রক্তদান শিবির। শিবিরের প্রধান আকর্ষণ ছিল রক্ত দাও, পিঁয়াজ নাও। এই খবর ছড়িয়ে পড়তেই মুহূর্তের মধ্যে ভরে ওঠে রক্তদান শিবির। সকাল এগারোটা থেকে শুরু হয়ে যায় এই শিবির। মোট ১২৬ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করা হয়েছে। অবশ্য কয়েকজন এতে আপত্তি জানায়। শেষের দিকে বন্ধ করে দেওয়া হয় এই শিবির। তবে উপহার দিয়ে মোটেই অপরাধবোধে ভুগছেন না অন্যতম উদ্যোক্তারা। তাঁরা জানিয়েছেন, রক্তের মতোই দামি হয়ে উঠেছে পিঁয়াজ। পিঁয়াজের দাম এখন মধ্যবিত্তের চোখে জল এনে দিয়েছে। সুতরাং রক্তদান সচেতনতার পাশাপাশি এটি একরকমের প্রতিবাদও। পরে কয়েকজন এসে এই ঘটনার প্রতিবাদ করায় বন্ধ করে দেওয়া হয়।
উল্লেখ্য, পিঁয়াজকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক দলের মধ্যে মারামারির ঘটনাও আগে কোনওদিন শোনা যায়নি! তবে পরিস্থিতি যা দাঁড়িয়েছে, রক্তদান থেকে মারামারি, পিয়াঁজের জন্য সবই সম্ভব। কয়েকদিন আগেই উত্তরাখণ্ডের নৈনিতালেএক কংগ্রেস নেতা ৩০ টাকা কিলো দরে পিঁয়াজ বিক্রি করছিলেন। সেই রাগে এক বিজেপি সমর্থক তাঁর আঙুল কামড়ে দেয় বলে অভিযোগ। পরে পুলিশ এসে অভিযুক্তকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে যায়। যদিও ওই ব্যক্তির তাদের সঙ্গে কোনও যোগ নেই বলে দাবি করে স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্ব।
[আরও পড়ুন: ফিরছে ‘আচ্ছে দিন’! আজ থেকে কমছে পিঁয়াজের দাম?]
The post রক্ত দিলেই মিলছে পিঁয়াজ! জোর বিতর্ক সুরাটে appeared first on Sangbad Pratidin.