সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অঙ্গদানকে এ পৃথিবীতে অন্তত মানবিক কাজ হিসেবেই দেখা হয়। কারও অঙ্গে যদি আর একজন জীবন ফিরে পান তাহলে মন্দ কী! মরণোত্তর দেহদানের ঘোষণা তাই অনেকেই করে যান। কিন্তু তা নাকি ইসলাম বিরোধী! এই অভিযোগেই ফতোয়ার মুখে পড়লেন এক মুসলিম চিকিৎসক।
[ ‘দেশ বাঁচাতে প্রয়োজনে সীমান্ত পেরিয়েও হামলা চালাবে সেনা’ ]
ঘটনা উত্তরপ্রদেশের কানপুরের। চিকিৎসক আরশাদ মনসুরি তাঁর দেহদানের কথা ঘোষণা করেন। জিএসভিএম মেডিক্যাল কলেজের ছাত্ররা গবেষণার কাজে যাতে তা ব্যবহার করতে পারেন, সে কারণেই ছিল চিকিৎসকের এই সিদ্ধান্ত। কিন্তু তাঁর সিদ্ধান্ত মোটেও ভাল চোখে নেয়নি কিছু ইসলাম সংগঠন। এর জেরেই তাঁর বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয়। সমর্থন জানায় প্রভাবশালী সংগঠন দারুল উলুম দেওবন্দ। ফতোয়া দেওয়ার কারণ কী? সংগঠনের তরফে জানা হয়েছে, মানুষ যা দান করে তা তার নিজস্ব হওয়া উচিত। অন্যের জিনিস দান করা যায় না। শরীর আল্লাহর সম্পত্তি। মানুষ কী করে তা দান করতে পারে? এ কারণেই অঙ্গদান ইসলাম বিরোধী বলে দাবি ওই সংগঠনের। আর সেই ইচ্ছে প্রকাশ করার জন্যই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ফতোয়া জারি হয়েছে। অন্যদিকে চিকিৎসকের দাবি, এটাই তো মানবিকতা। ঈশ্বর তো চান মৃত্যুর পরও মানুষ অন্যের উপকারে লাগুক। একজন মৃত মানুষের অঙ্গ যদি কাউকে বাঁচিয়ে তোলে, বা গবেষক পড়ুয়াদের যদি তা কাজে লাগে, তবে তার থেকে ভাল আর কী হতে পারে!
[ ‘জাতীয় সংগীত থেকে বাদ দেওয়া হোক অধিনায়ক শব্দটি’ ]
যদিও চাপের মুখে নতিস্বীকার করেননি ওই চিকিৎসক। তাঁর দাবি, একটা কর্ণিয়া ব্যবহারযোগ্য থাকে ৩০০ বছর। মানুষের জীবন আর কতটুকু? সুতরাং অঙ্গ কাজে লাগতে পারে, এবং সেটাই ঈশ্বরেরই ইচ্ছা। মৌলবিরা ভুল ব্যাখ্যা করে মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন বলেও দাবি তাঁর। অন্যদিকে এই ঘোষণার জেরে তাঁকে নানারকম হুমকিও দেওয়া হচ্ছে ফোনে। ইতিমধ্যে পুরো বিষয়টি জানিয়ে পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছেন ওই চিকিৎসক।
[ ‘আইনস্টাইনের থিওরির চেয়েও বেদকে বড় বলে মেনে নিয়েছিলেন হকিং’ ]
The post অঙ্গদান ইসলাম বিরোধী! অভিযোগে ফতোয়া মুসলিম চিকিৎসকের বিরুদ্ধে appeared first on Sangbad Pratidin.