শুভঙ্কর বসু: যে সমস্ত পুলিশ আধিকারিক তদন্তের কাজে নিযুক্ত থাকবেন তাদের আইনশৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করানো যাবে না। তেমনটা হলে স্বাভাবিক ভাবেই তদন্ত প্রক্রিয়া ব্যাহত হতে বাধ্য। আর হচ্ছেও তাই। এক নাবালিকা নিখোঁজের ঘটনায় এমন মন্তব্য করে রাজ্যের মুখ্যসচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিবকে অবিলম্বে পুলিশ প্রশাসনের সংস্কারের কাজ কার্যকর করতে বলল কলকাতা হাই কোর্ট (Calcutta High Court)।
[আরও পড়ুন: স্মার্ট কার্ড ছাড়াই মেট্রো স্টেশনে প্রবেশের চেষ্টা, চাঁদনিতে বাধা পেয়ে কর্মীকে বেধড়ক মারধর]
মুখ্য সচিব ও স্বরাষ্ট্র সচিব কে আদালতের নির্দেশ, অবিলম্বে পুলিশ আধিকারিকদের বিভাগ তৈরি করা হোক। তদন্ত প্রক্রিয়া সামলানোর জন্য একটি পৃথক বিভাগ তৈরি করতে হবে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজ করবে অন্য বিভাগ। ঘটনা হল এক দশক সমস্ত রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনে সংস্কারের কথা বলেছিল সুপ্রিম কোর্ট। কিন্তু দীর্ঘ বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও তা না হওয়ায় এদিন রীতিমতো ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বিচারপতি সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। এদিন ওই নাবালিকাকে খুঁজে না পাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে আরামবাগ থানার তরফে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার জন্য আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার কাজে একাধিক পুলিশ আধিকারিক নিযুক্ত আছেন বলে বক্তব্য রাখার চেষ্টা করা হয়। তারপরই ডিভিশন বেঞ্চ এমন নির্দেশ দিয়েছে।
কিন্তু কোন মামলা সূত্রে আদালতের এমন নির্দেশ? এক নাবালিকা নিখোঁজের ঘটনায় হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন বাবা শেখ শাহানুর আলম। তাঁর আইনজীবী নীলাদ্রী শেখর ঘোষ বলেন, “গত অক্টোবর মাসে মেয়েটি নিখোঁজ হয়ে যায়। এরপর আদালত মেয়েটিকে খুঁজে বার করতে আরামবাগ থানাকে দুবার সময় দেয়। এরপর ১ ডিসেম্বরের মধ্যে মেয়েটিকে খুঁজে বার করে আদালতে হাজির করতে নির্দেশ দিয়েছিল ডিভিশন বেঞ্চ। কিন্তু দীর্ঘদিন কেটে যাওয়ার পরও মেয়েটিকে পাওয়া যাচ্ছে না বলে এদিন আদালতে আরও সময় চয়েছে রাজ্য।” আরামবাগ থানার তরফে একটি রিপোর্ট পেশ করা হলেও তাতে নিখোঁজ মেয়েটি সম্পর্কে কোন তথ্য নেই। তাতেই চটেছে ডিভিশন বেঞ্চ। আপাতত ঘটনায় হুগলির পুলিশ সুপারের কাছে রিপোর্ট তলব করেছে বিচারপতি বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ। ২১ তারিখ মামলার পরবর্তী শুনানি।