সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শত্রুশিবিরের ঘুম কেড়ে নিতে আরও শক্তিশালী ভারতীয় নৌসেনা। ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও) ও নৌসেনার তরফে ওড়িশার চাঁদিপুর থেকে সফল উৎক্ষেপণ করা হল স্বল্প পাল্লার মাটি থেকে আকাশ ভার্টিক্যাল ক্ষেপণাস্ত্রের। জানা গিয়েছে, খুব নিচু থেকে হামলা চালাতে সক্ষম এই ক্ষেপণাস্ত্র যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে নিমেষে ধ্বংস করে দিতে পারে।
বৃহস্পতিবারের পর শুক্রবার নৌসেনার জন্য দ্বিতীয় ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা করা হল ডিআরডিও-এর তরফে। জানা গিয়েছে, মাটি থেকে ভার্টিক্যাল লঞ্চারের মাধ্যমে আকাশে দ্রুত গতিতে আসা লক্ষ্যবস্তুকে নিশানা করা হয়। প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের তরফে জানানো হয়েছে, টার্গেটের হদিশ পেতেই মুহূর্তে তাকে ধ্বংস করে দেয় ক্ষেপণাস্ত্র। অস্ত্র পরীক্ষা সফল হওয়ার পর ডিআরডিওকে অভিনন্দন জানিয়েছেন প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং। পাশাপাশি এই ক্ষেপণাস্ত্র তৈরিতে অংশ নেওয়া সকলকে অভিনন্দন জানিয়েছেন ডিআরডিও-এর সচিব ডঃ সমীর বি কামত। তিনি বলেন, এই অস্ত্র যুদ্ধক্ষেত্রে নৌসেনার বেশ কয়েক কদম এগিয়ে দেবে।
[আরও পড়ুন: মাত্র ৩৬ বছরে হৃদরোগে আক্রান্ত! অকালমৃত্যু বিশ্বসেরা বডি বিল্ডারের]
পাশাপাশি দেশের নৌসেনাকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে কে সিরিজের অত্যাধুনিক ক্ষেপনাস্ত্র বানাচ্ছে ডিআরডিও। পরমাণু অস্ত্র বহনক্ষম এই কে-৫ ক্ষেপণাস্ত্র যুক্ত করা হবে নৌসেনার ডুবোজাহাজে। দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি এই ক্ষেপণাস্ত্রটি ২০০০ কেজি বিস্ফোরক বহন করতে পারে। অত্যাধুনিক এই অস্ত্র ৫ থেকে ৬ হাজার কিলোমিটার দূরে যে কোনও লক্ষ্যবস্তুকে ধ্বংস করতে সক্ষম।
[আরও পড়ুন: মার্চে গ্রেপ্তার, সেপ্টেম্বরে মুক্তি, একনজরে কেজরির কারাবাস]
সর্বোচ্চ ৯ হাজার কিলোমিটার পর্যন্ত দূরত্ব পাড়ি দিতে পারে এই মিসাইল। ফলে পাকিস্তান ও চিনের একাধিক এলাকা এই ক্ষেপণাস্ত্রের আওতার মধ্যে পড়ে যায়। এই অস্ত্র নৌসেনার হাতে পড়লে দেশের মার্কোস বাহিনী যে বিশাল ক্ষমতাশালী হয়ে উঠবে তা বলার অপেক্ষা রাখে না।