সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: দিল্লির (Delhi) রোহিণী আদালতে বিস্ফোরণের ঘটনায় অভিযুক্ত সন্দেহে গ্রেপ্তার এক বিজ্ঞানী। পুলিশের জেরায় তিনি কবুল করেছেন যে নিজেই বিস্ফোরক তৈরি করেছিলেন, আইনজীবীকে খুনের উদ্দেশে। ঘটনার তদন্তে নেমে সিসিটিভি ফুটেজ ও অন্যান্য নমুনা পরীক্ষার পর তল্লাশি চালিয়ে শনিবার ডিআরডিও-র (DRDO) ওই বিজ্ঞানীকে গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশ। তাকে রোহিণী আদালতে পেশ করা হবে।
গত ৯ তারিখ দিল্লির রোহিণী আদালতের ১০২ নং কক্ষে মৃদু বিস্ফোরণ (Blast)ঘটে। আহত হন এক নিরাপত্তারক্ষী। ওইদিন সকাল ১০টা ৪০ মিনিট নাগাদ এজলাস চলাকালীন বিস্ফোরণের শব্দ পেয়ে গোটা আদালত চত্বরে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। দ্রুত খবর দেওয়া হয় দমকল এবং পুলিশে। তড়িঘড়ি দিল্লির বিশাল পুলিশ (Delhi Police) বাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। পৌঁছে যায় দমকলের ৬টি ইঞ্জিনও। বিস্ফোরণের সঙ্গে সঙ্গে আদালতের সব কক্ষের শুনানি বন্ধ করে আদালত চত্বর খালি করে দেওয়া হয়।
[আরও পড়ুন: ‘বড্ড নোংরা’, ছাত্রীর অভিযোগ পেয়ে নিজে গিয়ে স্কুলের শৌচাগার সাফ করলেন মন্ত্রী]
প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান ছিল, আদালত কক্ষে একটি ল্যাপটপে (Laptop) বিস্ফোরণটি ঘটে। ব্যাগের ভিতরে থাকা ওই ল্যাপটপটির ব্যাটারিতে কোনও সমস্যা থাকায় সেটি ফেটেছে বলে মনে করা হচ্ছিল। নেহাতই দুর্ঘটনা নাকি এর নেপথ্যে কোনও ষড়যন্ত্র, তা খতিয়ে দেখতে তদন্তে নামে পুলিশ। দেখা যায়, দ্বিতীয় তত্বেই কার্যত সিলমোহর পড়ছে। কারণ, শনিবার এই বিস্ফোরণের ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এক বিজ্ঞানীকে গ্রেপ্তার করার পরই তদন্তের কিনারা প্রায় করে ফেলে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: ব্রিটেনের মতো পরিস্থিতি হলে ভারতে দৈনিক ‘ওমিক্রন’ আক্রান্ত হবে ১৪ লক্ষ! জানাল কেন্দ্র]
অভিযুক্তকে জেরা করে পুলিশ জানতে পেরেছে, এক আইনজীবীর সঙ্গে ডিআরডিও-র ওই বিজ্ঞানীর গন্ডগোল ছিল। তাই তাঁকে খুন করতে চেয়েছিলেন। আর সেই উদ্দেশেই তিনি নিজের হাতে আইইডি (IED) তৈরি করে আদালতের ১০২ নং কক্ষে তা রেখে দিয়েছিলেন। যদিও শেষপর্যন্ত বিজ্ঞানীর উদ্দেশ্য পূরণ হয়নি। তাঁর টার্গেট আইনজীবীর অক্ষতই রয়েছেন। পুলিশ আরও জানতে পারে, ডিআরডিও-তে কাজের সুবাদে ছোটখাটো বিস্ফোরক তৈরির অভিজ্ঞতা তাঁর আছে। তাই এই আইইডি তৈরি করা খুব একটা কঠিন ছিল না। তদন্তের স্বার্থে দিল্লি পুলিশ এখনও ধৃত বিজ্ঞানীর নাম প্রকাশ করেনি।
কয়েক মাস আগে এই রোহিণী আদালতেই দুই দুষ্কৃতী গ্যাংয়ের মধ্যে ধুন্ধুমার গুলির লড়াই হয়েছিল। তাতে কুখ্যাত এক দুষ্কৃতী-সহ বেশ কয়েকজনের মৃত্যু হয়। আদালত চত্বরে এ ধরনের গ্যাংওয়ারের ঘটনায় ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছিল। তারপর আবার বিস্ফোরণের ঘটনা। যদিও দ্বিতীয় ঘটনারও কিনারা হতে চলেছে।