সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একাধিক অভিনেত্রী কোনও সিনেমা বা সিরিজের কাজ করলে তাঁদের পারস্পরিক সম্পর্ক নিয়ে অনেকের মধ্যেই আগ্রহ থাকে। বিশেষ করে নায়িকাদের বন্ধুত্বের খবর নিয়ে যেমন অনুরাগীদের মধ্যে কৌতূহলের অন্ত নেই, তেমনই দুই অভিনেত্রীর ‘ক্যাট ফাইট’-এর ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হয় না। তবে এক প্রজেক্টে কাজ করলেই যে দুই নায়িকার বন্ধুত্ব ভাল হবে, এমনটা নাও ঘটতে পারে! ঠিক যেমনটা ঘটেছে ক্যামেলিয়া প্রযোজিত ‘মাতঙ্গী’র শুটিংয়ে। এই সিরিজের যৌথ প্রযোজক অভিনেতা রুদ্রনীল ঘোষও।
সোহিনী সরকারের সঙ্গে বিবাদের জেরে নাকি শুটিং ছেড়ে বেড়িয়ে গিয়েছেন তৃণা সাহা! যদিও দুই নায়িকা এই বিষয়ে কোনওরকম মন্তব্য করেননি, তবে নায়িকা সংঘাতের খবর প্রকাশ্যে আসতেই তোলপাড় টলিপাড়া। কী হয়েছে? মেকআপ আর্টিস্ট আর ভ্যান নিয়ে মনোমালিন্যের সূত্রপাত। শোনা যাচ্ছে, তৃণা নাকি দাবি করেছিলেন তাঁরও সোহিনীর মতো আলাদা ব্যবস্থা চাই। উল্লেখ্য, সোহিনীর সরকারের ব্যক্তিগত যে মেকআপ ও হেয়ার স্টাইলিং টিম তাঁরা বছরখানেক ধরেই সবখানে অভিনেত্রীর সঙ্গে থাকেন। ‘মাতঙ্গী’র সেটেও হাজির ছিলেন তাঁরা। সেটা দেখেই প্রযোজনা সংস্থার কাছে আলাদা মেকআপ টিমের বায়না ধরেন টেলিপর্দার জনপ্রিয় বালিঝড় অভিনেত্রী।
[আরও পড়ুন: ‘প্রেমের জন্য ভিক্ষে! অ্যাকাউন্ট হ্যাক’, ‘সুপারস্টার কাপুর’-এর বিরুদ্ধে ‘পুলিশে নালিশ’ কঙ্গনার!]
‘মাতঙ্গী’র টিমের একাংশের দাবি, তৃণা নাকি প্রযোজনা সংস্থার সঙ্গে এই প্রসঙ্গে ভাল করে কথা বলেননি। এমনকী পরিচালকদ্বয়ের সঙ্গেও অভিনেত্রী দুর্ব্যবহার করেন বলে দাবি। শুটিং টিমের একাংশের তরফে জানা গিয়েছে, সেটের মধ্যেই নাকি তিনি চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করেন। অভিনেত্রীর এহেন আচরণ নিয়ে কানাঘুষো কথাও হয়! তবে ঝামেলা আরও বাড়ে সোহিনীর একটি মেসেজে। সূত্রের খবর, আর্টিস্ট গ্রুপে নাকি ‘সত্যবতী’ কারও নাম না করেই লেখেন, ২০১৮ সাল থেকে নিজের যোগ্যতায় আলাদা স্টাইলিং টিম পেয়ে আসছেন তিনি। তাই অপেক্ষা করলে সময়মতো সকলের জন্যই বন্দোবস্ত হয়। আর সেই কথা চাউর হতেই নাকি অপমানিত বোধ করেন তৃণা সাহা। তারপরই শুটিং ছেড়ে বেরিয়ে যান। তিনি এও দাবি করেন যে, সোহিনীকে ক্ষমা চাইতে হবে, কিন্তু আরেক নায়িকা এতে রাজি নন!
তবে দুই নায়িকার’ক্যাট ফাইট’-এর জেরে বিশ বাঁও জলে সিরিজের কাজ। এদিকে তৃণা সাহার সঙ্গে অর্ধেকেরও বেশি অংশের শুটিং হয়ে গিয়েছে। নতুন কাউকে কাস্ট করা সম্ভব নয়। এদিকে মনোমালিন্য চলতে থাকলে যে প্রযোজনা সংস্থা বড়সড় আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হবে, তা বলাই বাহুল্য।