স্টাফ রিপোর্টার: কোর্স শেষ। সোমবার ২৪ জন পরিবেশ যোদ্ধার হাতে শংসাপত্র তুলে দিয়েছে কলকাতা পুরসভার পরিবেশ বিভাগ। পুজোর(Durga Puja 2024) শহরে যাদের তীক্ষ্ণ দৃষ্টি থাকবে পাড়ায় পাড়ায়। অসাধুচক্র কোথাও গাছ কাটলে, পুকুর বোজানোর চেষ্টা করলেই পরিবেশ যোদ্ধারা খবর দেবেন কলকাতা পুরসভার পরিবেশ দপ্তরে। দেশের মধ্যে প্রথম এনিয়ে চিন্তাভাবনা শুরু করেছিল কলকাতা পুরসভা।
পরিবেশ বাঁচাতে পাড়ায় পাড়ায় তৈরি করা হবে কমব্যাট ফোর্স। সেই লক্ষ্য সামনে রেখে শুরু হয়েছিল প্রশিক্ষণ। টানা একমাস থিওরি, প্র্যাকটিকাল ক্লাসের শেষে সোমবার পরিবেশ যোদ্ধাদের হাতে শংসাপত্র তুলে দিয়েছেন কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (পরিবেশ) স্বপন সমাদ্দার। তাঁর কথায়, ‘‘এই শংসাপত্র শুধুমাত্র আলমারিতে সাজিয়ে রাখার জন্য নয়। পরিবেশ যোদ্ধাদের আমরা বলেছি রাস্তায় নেমে কাজ করতে হবে।’’ তিনি আরও জানান, "কোনও সময় পরিবেশ সচেতনতার জন্য লোকের প্রয়োজন হলে এদের ডাকবে কলকাতা পুরসভা। সামনে পুজো আসছে। পুজোর মধ্যে কেউ যদি পরিবেশ নষ্ট করতে চায়। রুখে দাঁড়াবেন আমাদের পরিবেশ যোদ্ধারা।"
এবার থেকে প্রতি বছর পরিবেশ যোদ্ধা কোর্স হবে পুরসভায়। এদিন পরিবেশ বিজ্ঞানী ডা. স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী প্রস্তাব দিয়েছেন, কলকাতা পুরসভার তিনটি বরোকে সবুজ বরো হিসাবে গড়ে তোলার। সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেছেন মেয়র পারিষদ। কলকাতা পুরসভার নতুন সবুজ বরোগুলোতে পর্যাপ্ত পরিমাণে সবুজ থাকবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়ম অনুযায়ী, শহুরে এলাকায় প্রতি ব্যক্তি পিছু নয় বর্গমিটার সবুজ রাখতে হবে। গ্রিন বরোতে মেনে চলা হবে সেই নিয়ম। এছাড়াও গ্রিন বরোর, সমস্ত বাড়িতে পচনশীল এবং অপচনশীল ময়লা পৃথকীকরণের কাজ আরও নিবীড়ভাবে হবে। অনুষ্ঠানে স্বপন সমাদ্দার ছাড়াও ছিলেন টেকনো ইন্ডিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের রিসার্চ উইংয়ের প্রধান ডা. অভিজিৎ মিত্র পরিবেশ বিজ্ঞানী ডা. স্বাতী নন্দী চক্রবর্তী।