ইস্টবেঙ্গল – ৪ (ডিকা ২, ডং পেনাল্টি, অবিনাশ)
ইউনাইটেড স্পোর্টস – ৩ (মনোতোষ, বেলো পেনাল্টি, সুহের)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এভাবেও ফিরে আসা যায়!
কোনও বড় দলের বিরুদ্ধে পিছিয়ে পড়ার পর ঘুরে দাঁড়ালে হয়তো এভাবেই প্রশংসা পেত ইস্টবেঙ্গল। কিন্তু এদিন তেমনটা বলা যাচ্ছে না। বরং ইউনাইটেড স্পোর্টসের বিরুদ্ধে চারখানা গোল করে জিতেও কোচ মর্গ্যান চাপেই রয়ে গেলেন।
৬৩ মিনিটে বুধিরাম টুডুর পাস থেকে ভিপি সুহের যখন তিন নম্বর গোলটি দিলেন, তখন লাল-হলুদ সমর্থকদের মাথায় হাত। বারাসত স্টেডিয়ামের স্কোর বোর্ডে জ্বলজ্বল করছে ১-৩ গোলে পিছিয়ে ইস্টবেঙ্গল। লিগ তালিকার এক্কেবারে নিচে থাকা দলের সঙ্গে লড়তে গিয়ে রীতিমতো হিমশিম খেতে হচ্ছে ডিকা, রর্বাটদের। অবশেষে এল কষ্টার্জিত জয়।
লিগে টানা চার ম্যাচেই জয়ী ইস্টবেঙ্গল। এমনকী মঙ্গলবারের জয়ের পর ১২ পয়েন্ট নিয়ে ফের তালিকার শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছে দল। তা সত্ত্বেও খুঁতখুঁতুনিটা থেকেই যাচ্ছে। প্রথম থেকেই সাহেব কোচের সবচেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা ছিল দলের রক্ষণ নিয়ে। প্রায় প্রতিটা ম্যাচেই গোল হজম করছেন অর্ণবরা। ইউনাইটেডের মতো পিছিয়ে থাকা দলও তিনবার লাল-হলুদের ডিফেন্স চিড়তে সফল। কেন হচ্ছে এমনটা? টানা তিন ম্যাচ জয়ের ফলে কি অতিরিক্ত আত্মতুষ্টিতে ভুগছিল দল? নাকি বেলো রজ্জাকদের হালকাভাবে নিয়েছিলেন মেহতাবরা! ইউনাইটেডকে হারাতেই যদি দলের এই হাল হয়, তবে ডার্বিতে কী হবে? ম্যাচ শেষে ময়দানে কিন্তু এমন প্রশ্ন ঘুরপাক খেতে শুরু করেছে।
গত তিন ম্যাচে হারের পর সুব্রত (বাবলু) ভট্টাচার্যের জায়গায় ইউনাইটেডের কোচ হিসেবে এসেছেন পার্থ সেনকে। ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে শেষমেশ পরাস্ত হলেও এদিন নজর কাড়লেন ফুটবলাররা। টানা ছ’বারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে উইং ধরে উঠে এসে মুহুর্মুহু আক্রমণ চালিয়ে গেলেন বুধিরামরা। প্রথমার্ধে মনোতোষের দুরন্ত লং শটে শুরুতেই এগিয়ে যায় দল। দ্বিতীয়ার্ধে সমতা ফেরান ডিকা। তারপরও দুটি গোল হজম করে লাল-হলুদ। তবে তিন গোলে পিছিয়ে পড়েও মনোবল হারায়নি। শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত লড়ে তিন পয়েন্ট ঘরে তুলেছে দল। এত কিছুর মধ্যে দিনের শেষে সান্ত্বনা এটাই।
The post লিগের লাস্ট বয়ের বিরুদ্ধে কষ্টার্জিত জয় ইস্টবেঙ্গলের appeared first on Sangbad Pratidin.