স্টাফ রিপোর্টার: বিশ্বকাপারের বিপক্ষে খেলতে হবে শুনেই হেসে ফেললেন গোকুলাম কোচ বিনু জর্জ। “এই বিশ্বকাপার গত তিনটে ম্যাচে ছিল। কী হয়েছে আপনারা সকলে জানেন।” এই ছোট্ট উত্তরেই যেন লুকিয়ে থাকল শনিবারের ম্যাচের ভাগ্য। ইস্টবেঙ্গলের ডিফেন্স নিয়ে এমন হাহাকার ইদানীং কালে দেখা যায়নি। পাঁচ ম্যাচে হজম করতে হয়েছে সাত-সাতটি গোল। অথচ লাল-হলুদ ডিফেন্সে আছেন এমন একজন যিনি কয়েকমাস আগেই খেলে এসেছেন বিশ্ব ফুটবলের সর্বোচ্চ টুর্নামেন্টে। তবু ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্স প্রায় প্রত্যেক ম্যাচেই থরহরি কম্প। তাই গোকুলাম এফসি-র বিরুদ্ধে রক্ষণ সাজাতে দিশেহারা ইস্টবেঙ্গল কোচ।
[তালিবান হুমকিতে আতঙ্কে ঘরছাড়া মেসির সেই খুদে ভক্ত]
সাধারণত প্র্যাকটিসে আড়ালে থাকে আলেজান্দ্রো মেনেজেসের পরিকল্পনা। ব্যতিক্রম থাকল শুক্রবার। অনুশীলনে স্পষ্ট হয়ে যায় আজ যুবভারতীতে জনির বদলে বোরহার সঙ্গী হচ্ছেন সালাম রঞ্জন সিং। কলকাতা লিগ হোক বা আই লিগ সব জায়গাতেই ডিফেন্সে ভরসা দিতে ব্যর্থ হয়েছেন কোস্টারিকার বিশ্বকাপার। উলটে প্রতিপক্ষ স্ট্রাইকাররা ম্যাচের পর বলেছেন, জনি থাকায় তাঁদের গোল পেতে সুবিধে হয়েছে। তার ওপর হারার হ্যাটট্রিক করে ফেলেছে লাল-হলুদ শিবির। তাই রক্ষণ নিয়ে পড়েছেন আলেজান্দ্রো। শুধু স্টপারই নয়। অন্য পজিশনেও বিকল্প তৈরি রাখছেন স্প্যানিশ কোচ। এদিন সই করানো হল লেফট ব্যাক হীরা মণ্ডলকে। ডিফেন্স পরিবর্তনের কথা স্বীকার করে নিলেন স্বয়ং কোচ। যদিও পারফরম্যান্স নয় ক্লান্তিকেই সামনে টেনে এনে স্প্যানিশ কোচ বললেন, “শুধু জনি কেন, সবার জীবনেই ভাল-মন্দ থাকে। তবে হ্যাঁ, গোকুলাম ম্যাচে কিছু পরিবর্তন হবে। তাই বলে পারফরম্যান্সের জন্য নয়। মিনার্ভা ম্যাচের তিনদিন পরই আবার নামতে হচ্ছে। তাই তরতাজা ফুটবলার খেলাতে চাইছি।”
[ঘরের মাঠে নিভল মশাল, হারের হ্যাটট্রিক করে চাপে ইস্টবেঙ্গল]
বলতে হয় তাই বললেন কিনা জানা নেই, বিনু জর্জ ইস্টবেঙ্গল সম্পর্কে সমীহের সুরে জানালেন, “ইস্টবেঙ্গল, মোহনবাগান ভারতীয় ফুটবলের দুই স্তম্ভ। ওদের যোগ্য সম্মান দিতেই হবে। কিন্তু আমরা কাউকে ভয় পাচ্ছি না। অ্যাওয়ে ম্যাচ হলেও তাই জয় ছাড়া কিছু মাথায় আনছি না আমরা।” কোচের কথার রেশ পাওয়া গেল গোকুলামের সিনিয়র ফুটবলার অভিষেক দাসের গলাতেও। “ইস্টবেঙ্গল ভাল না খেললেও খাতায়-কলমে ওরা এগিয়ে। এনরিকের উপর নজর থাকবে।” বললেন অভিষেক।
আগের দিনের মতো এদিনও দলের সঙ্গে চুটিয়ে প্র্যাকটিস করলেন নতুন বিদেশি কোলাডো। তবে গোকুলামের বিরুদ্ধে তাঁর খেলা হচ্ছে না। ফেডারেশনের নিয়ম, ম্যাচের ২৪ ঘণ্টা আগে ফুটবলার রেজিস্ট্রেশন করতে হবে। অথচ শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত তাঁর আইআরটিসি আসেনি।
[নিতম্ব দোলাতে পারেন? ব্যালন জয়ী মহিলা ফুটবলারকে মঞ্চেই অশ্লীল প্রশ্ন]
ঘুরে দাঁড়াতে গোকুলাম বধ করা ছাড়া ইস্টবেঙ্গলের সামনে দ্বিতীয় কোনও পথ নেই। তার জন্য দলে পরিবর্তন থেকে শুরু করে যা যা করার সবই করছেন আলেজান্দ্রো। এখন দেখার শুধু তাঁর সেই মিশন সম্পূর্ণ হয় কি না? নাকি পরপর চার ম্যাচ হেরে ‘ম’-র সরণিতে মনোরঞ্জন, মরগ্যানের সঙ্গে একাসনে বসে পড়বেন মেনেজেস। উপরোক্ত দু’জনের কোচিং কেরিয়ারে টানা চার ম্যাচ হারার কালি যে লেগে আছে!