ইস্টবেঙ্গল: ০ ডিএসকে শিবাজিয়ান্স: ১ (জেরি)
সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একের পর এক গোলের সুযোগ এল। আর প্রতিবারই ব্যর্থ হলেন ফুটবলাররা। রবিবাসরীয় বারাসতে ইস্টবেঙ্গলকে এক কথায় এভাবেই ব্যাখ্যা করতে হয়। আর এই হারের সঙ্গেই আই লিগ জয়ের স্বপ্ন শেষ হল মর্গ্যানবাহিনীর।
[Paytm-এ টাকা পাঠালেই মিলবে সেক্স পার্টনার, তদন্তে পুলিশ]
সময়টা সত্যিই খারাপ যাচ্ছে ইস্টবেঙ্গলের। ডার্বি হারের পর থেকেই সমর্থকদের মধ্যে বিক্ষোভ তৈরি হয়েছে। ১৪ বছর ক্লাবে ঢোকেনি আই লিগ ট্রফি। ক্লাব চত্বরে ভক্তদের প্রতিবাদের মুখে পড়তে হয়েছে কোচ থেকে ক্লাবকর্তা, সকলকেই। রোষের মুখ থেকে বাদ পড়েননি গোলকিপার রেহেনেসও। এমনকী লিগ শেষ হওয়ার আগেই ময়দানে ‘গো ব্যাক মর্গ্যান’ স্লোগান উঠে গিয়েছে। সেই প্রভাবই যেন এদিন পড়ল মাঠে। ফুটবলারদের মধ্যে সমঝোতার অভাব বারবার নজরে পড়ল। প্রথম ও দ্বিতীয়ার্ধে অজস্র গোলের সুযোগ তৈরি হল, কিন্তু ভাগ্য সহায় ছিল না। কোনওভাবেই গোলমুখ খুলতে পারলেন না পেইন, রবিন সিংরা। মাঝখান দিয়ে কুয়েরোর বাড়ানো বল থেকে দুরন্ত হেডারে গোল করে দলকে জিতিয়ে দিলেন শিবাজিয়ান্সের জেরি মহিমিংথাঙ্গা। শুধু দলকে তিন পয়েন্ট এনে দিলেন তা নয়, খেতাব জয়ের দৌড় থেকে ইস্টবেঙ্গলকে ছিটকেও দিলেন তিনি। আর এরই সঙ্গে যেন লাল-হলুদে মর্গ্যানের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হওয়া নিশ্চিত হয়ে গেল।
[‘যারা জওয়ানদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করবে তাদের গুলি করে মারা উচিত’]
গত বেশ কয়েকটি ম্যাচে খারাপ পারফরম্যান্সের জেরে এদিন রেহেনেসকে দল থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল। সাহেব কোচ বেছে নিয়েছিলেন শুভাশিসকে। প্রথম একাদশে ছিলেন জাকিচাঁদ সিং, বিকাশ জাইরুকে। কিন্তু ওয়েডসন, লালরিন্ডিকাকে প্রথমার্ধে কেন নামালেন না, তা বোঝা গেল না। তাঁরা দ্বিতীয়ার্ধে নামলেও তখন অনেক দেরি হয়ে গিয়েছে। তবে একজনের কথা এদিন উল্লেখ করতেই হয়। তিনি শিবাজিয়ান্সের গোলকিপার সুব্রত পাল। ভারতীয় দলের প্রাক্তন তারকার অসামান্য কিপিংয়েই এদিন মেহতাবদের জলন্ত মশাল যেন নিভে গেল। এবারের মতো শেষ হল ইস্টবেঙ্গলের আই লিগ জয়ের লড়াই। ঘরের মাঠে লজ্জার হারে মুষড়ে পড়েছেন লাল-হলুদের সমর্থকরা।
The post শিবাজিয়ান্সের কাছে হেরে লজ্জায় মাথানত ইস্টবেঙ্গলের appeared first on Sangbad Pratidin.