সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বহুদিন ধরে দায়িত্বে ছিলেন। একার কাঁধে গোটা ইস্টবেঙ্গল ক্লাবকে আগলে রাখতেন। দুর্দিনেও থেকেছেন ক্লাবের পাশে। লাল-হলুদের ম্যাচ মানেই রিজার্ভ বেঞ্চে ম্যানেজার হিসেবে দেখা যেত স্বপন বলকে। কিন্তু জীবনে বহু ম্যাচ জিতলেও শেষ পর্যন্ত মারণরোগ ক্যানসারের কাছে হার মানলেন ময়দানের এই রঙিন ব্যক্তিত্ব। দীর্ঘ রোগভোগের পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে মারা গেলেন ময়দানের বহু যুদ্ধের সাক্ষী স্বপন বল। সেই সঙ্গেই ছিন্ন হয়ে গেল লাল-হলুদের সঙ্গে তাঁর চার দশকের সম্পর্ক।
[কমিশনের সুপারিশের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গগুলিই বাদ দিচ্ছে বোর্ড, ক্ষোভ বিচারপতি লোধার]
বেশ কিছুদিন ধরেই ভরতি ছিলেন দক্ষিণ কলকাতার সাদার্ন অ্যাভেনিউয়ের একটি নার্সিংহোমে। এদিন রাত ১ টা ৫ মিনিটে সেখানেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। স্বপন বলের মৃত্যুর খবরে ইতিমধ্যে ময়দান জুড়ে নেমেছে শোকের ছায়া। ইস্টবেঙ্গলে খেলে যাওয়া প্রাক্তন-বর্তমান সমস্ত খেলোয়াড়রাই শোকপ্রকাশ করেছেন। জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই মারণরোগ ক্যানসারে আক্রান্ত হলেও মাঝেমধ্যেই চলে আসতেন ক্লাবে। ছোটবেলা থেকেই ক্লাবই ছিল তাঁর জীবন। এক সময় ইস্টবেঙ্গলের ম্যানেজার মানেই একবাক্যে সবাই জানত ‘স্বপনদা’-র নাম। তবে পরবর্তী সময়ে শারীরিক অসুস্থতার কারণে দলের ম্যানেজারের পদ ছেড়ে দিয়েছেন। যদিও তা সত্ত্বেও ইস্টবেঙ্গল ক্লাব তাঁর কাছে সবকিছু ছিল।
[ইংলিশ চ্যানেল পার করে বাংলার মুকুটে গর্বের পালক সায়নীর]
ঐতিহাসিক আশিয়ান কাপ থেকে শুরু করে ইস্টবেঙ্গলের বহু কাপ জয়ের সাক্ষী ছিলেন তিনি। ফুটবলারদের ওপর যে কোনও ঝড়-ঝাপটা আসলে বুক দিয়ে আগলে রাখতেন। ক্লাবের ভাল-খারাপ যেকোনও সময় তাঁকে পাওয়া যেত। তাঁর অকালপ্রয়াণে একটা যুগের অবসান হল ময়দানে। অভিভাবকহীন হয়ে পড়ল লাল-হলুদ শিবির। শুক্রবার শেষ বারের মতো ক্লাবে ঢুকবে তাঁর নশ্বর দেহ। সকাল ৯ টায় মরদেহ আনা হয়েছে তাঁর বাড়িতে। সেখান থেকেই ১০ টা নাগাদ নিয়ে আসা হবে লেসলি ক্লডিয়াস সরণীতে। সেখানেই ক্লাবের কর্মকর্তা থেকে শুরু করে সমর্থকরা শেষ শ্রদ্ধা জানাবেন প্রয়াত স্বপন বলকে।
[ভারতীয় মহিলা ক্রিকেট দলকে সংবর্ধনা জানাল কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রক]
The post প্রয়াত বর্ষীয়ান ইস্টবেঙ্গল কর্তা স্বপন বল, শোকের ছায়া ময়দানে appeared first on Sangbad Pratidin.