সুদীপ রায়চৌধুরী: প্রথম ও দ্বিতীয় দফার মতো রাজ্যে তৃতীয় দফাতেও নিম্নমুখী ভোটের হার। এই দফায় ৪ আসনে গড়ে ভোট পড়ল ৭৭.৫৩ শতাংশ। যা ২০১৯ সালের তুলনায় প্রায় ৪ শতাংশ কম। ২০১৯-এ এই চার কেন্দ্রে ভোটের হার ছিল ৮১.৬২ শতাংশ। বুধবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিকের তরফে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।
কমিশনের (Election Commission) হিসাব বলছে, চার কেন্দ্রেই ভোটের হার ২০১৯ সালের তুলনায় মোটের উপর ৩-৪ শতাংশ কমেছে। বুধবার কমিশনের তরফে দেওয়া চূড়ান্ত তথ্য অনুযায়ী, মালদহ উত্তরে ভোট পড়েছে ৭৬.০৩ শতাংশ। মালদহ দক্ষিণে ৭৬.৬৯ শতাংশ, জঙ্গিপুরে ৭৫.৭২ শতাংশ এবং মুর্শিদাবাদে ৮১.৫২ শতাংশ ভোট পড়েছে। যদিও মুর্শিদাবাদের ভোটের হার এখনও চূড়ান্ত নয়। এই ভোটের হার বাড়তে পারে।
[আরও পড়ুন: ‘বাথরুম থেকে বেরিয়েই দেখি ট্রাম্প অন্তর্বাস খুলে আমার বেডরুমে’, আদালতে বিস্ফোরক স্টর্মি]
২০১৯ সালে ২০১৯ সালে মালদহ উত্তরে ৮০.২৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল। অর্থাৎ এই কেন্দ্রে এবার ভোটের হার কমেছে প্রায় ৪ শতাংশ। মালদহ দক্ষিণে ২০১৯ সালে ভোট পড়েছিল ৮১.০৬ শতাংশ। এই কেন্দ্রেও এবার আগেরবারের থেকে ৪ শতাংশ কম ভোট পড়েছে। একই ছবি জঙ্গিপুর এবং মুর্শিদাবাদে। জঙ্গিপুরে ২০১৯ সালে ৮০.৭২ শতাংশ এবং মুর্শিদাবাদে ২০১৯ সালে ৮৪.২৮ শতাংশ ভোট পড়েছিল।
[আরও পড়ুন: পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়ে বাড়ছে আতঙ্ক! বাজার থেকে কোভিশিল্ড তুলে নিচ্ছে অ্যাস্ট্রাজেনেকা]
এবারে বাংলায় ভোট অনেকটাই হয়েছে সুষ্ঠু ও হিংসামুক্ত। তা সত্ত্বেও ভোটের (Lok Sabha 2024) হার কমল কেন? অঙ্ক কষছে রাজনৈতিক দলগুলি। ‘ভোট বিজ্ঞানী’রা বলেন, কম ভোট পড়া ক্ষমতাসীন দলের পক্ষে শুভ ইঙ্গিত। তবে, বাংলার ক্ষেত্রে সেটা কেন্দ্রের শাসকদলের জন্য না রাজ্যের শাসকদলের জন্য, সেটাই লাখ টাকার প্রশ্ন। অনেকে অবশ্য সার্বিকভাবে ভোটদানের হার কমার জন্য হাতেগরম কোনও ইস্যু না থাকাকে দায়ী করছেন। কেউ কেউ আবার দায়ী করছেন প্রবল গরমকে।