সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সারদা কাণ্ডে কুণাল ঘোষকে ফের তলব করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি)। ৮ মার্চ তাঁকে সিজিও কমপ্লেক্সে ফের হাজিরা দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার সিজিও কমপ্লেক্স থেকে বেরিয়ে কুণাল জানান, “২০১৩ সাল থেকে তদন্তের স্বার্থে আমি হাজিরা দিচ্ছি। সিবিআই, ইডি, রাজ্যের সিট যখন যে ডেকেছে আমি তদন্তে সহযোগিতা করেছি। এবারও আসব।” তিনি আরও জানান, “ভিতরে কী প্রশ্ন করা হয়েছে, কী জবাব দিয়েছি তা বাইরে জানাব না। কারণ এটা নীতিবিরুদ্ধ।”
এদিন, সকাল ১০.৩০টা নাগাদ ইডি’র দপ্তরে পৌঁছন সারদা কাণ্ডে অভিযুক্ত কুণাল ঘোষ। সেখানেই তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সূত্রের খবর, সারদা-কাণ্ডে বেশ কিছু নতুন তথ্য হাতে এসেছে ইডির। কয়েকদিন আগে সারদায় অন্যতম অভিযুক্ত দেবযানী মুখোপাধ্যায়কে জেরা করে সিবিআই। এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে তদন্তকারীদের হাতে এসেছে বেশ কিছু ‘গুরুত্বপূর্ণ’ তথ্য। আর সেই তথ্যের ভিত্তিতেই কুণাল ঘোষকে জেরা করতে চেয়েছিল ইডি। এদিন প্রায় সাড়ে ছ’ঘণ্টা কুণালকে জিজ্ঞাসাবাদ করে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের আধিকারিকরা। তবে কী প্রশ্ন করা হয়েছে, বা তার কী জবাব তৃণমূল নেতা দিয়েছেন, তা নিয়ে প্রকাশ্যে কিছু জানাননি কুণাল ঘোষ।
[আরও পড়ুন : আনিসুর রহমানের মামলা প্রত্যাহারের আবেদন খারিজ, ফের গ্রেপ্তারির নির্দেশ হাই কোর্টের]
পশ্চিমবঙ্গে ভোটের মুখে দলীয় মুখপাত্রকে এভাবে নোটিস পাঠানোর নেপথ্যে রাজনৈতিক অভিসন্ধি রয়েছে বলে অভিযোগ তৃণমূলের। যদিও বিজেপির পালটা দাবি, দল কোনও তদন্তকারী সংস্থাকে প্রভাবিত করে না। তদন্তে যেমন উঠে আসছে সেভাবেই ইডি কিংবা সিআইডি চলছে বলে দাবি বঙ্গ বিজেপি নেতৃত্বের। বলে রাখা ভাল, সারদা-কাণ্ডে কুণাল ঘোষকে গ্রেপ্তার করেছিল সিবিআই। এখন তিনি জামিনে রয়েছেন। সারদা তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। সিবিআইয়ের পাশাপাশি ইডি-ও তদন্ত করছে।