অর্ণব আইচ: রেশন দুর্নীতি মামলায় ফের অ্যাকশনে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। রাজ্যজুড়ে একযোগে ১৪ জায়গায় হানা তদন্তকারীদের। বুধবার সকাল থেকেই চলছে তল্লাশি। কোথাও রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীর বাড়িতে তো কোথাও রেশন ডিলারদের দোকানে-গোডাউনে চলছে ছানবিন করছেন তদন্তকারীরা। রেশন দুর্নীতির বিপুল অঙ্কের টাকা বিভিন্ন সংস্থার মাধ্যমে পাচার হয়েছে, সেই টাকার হদিশ পেতেই এই তল্লাশি বলেই বলে সূত্রের খবর।
বসায়ীর দুটি বাড়ি রয়েছে। দুটিতেই চলছে তল্লাশি। তবে তাঁর সঙ্গে রেশন দুর্নীতির কী যোগ তা স্পষ্ট নয়। মনে করা হচ্ছে, দুর্নীতির বিপুল অঙ্কের টাকা এই ব্যবসায়ীর সংস্থার মাধ্যমে সরানো হয়েছে। সেই সূত্রে ধরেই এই তল্লাশি। এছাড়াও পাঁচলার এক রেশন ডিলারের বাড়ি-গোডাউন, উলুবেরিয়ার উত্তর জগদীশপুরে এক রেশন ডিলার একাধিক গোডাউন, জগৎবল্লভপুর সমবায় কৃষি উন্নয়ন সমিতিতে চলছে তল্লাশি। সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের লাগাতার জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা।
এক হাজার কোটির আর্থিক লেনদেনের হদিশ রেশন দুর্নীতি মামলায়। লেনদেন হত দুর্নীতিতে অভিযুক্ত আনিসুর রহমান ও আলিফ নূরের মাধ্যমে। জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও বাকিবুর রহমানের সঙ্গেও আর্থিক সম্পর্কের হদিশ মিলেছে ধৃত দুজনের। আদালতে জমা দেওয়া তৃতীয় চার্জশিটে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য দিয়েছে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডির দাবি, এই দুর্নীতির তদন্তে নেমে তাঁরা এখনও পর্যন্ত সাড়ে তিনশোরটির বেশি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের খোঁজ পেয়েছে। যার মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার হাতবদল হয়েছে। সেই টাকার হদিশ পেতেই ফের সক্রিয় ইডি।