সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গার্ডেনরিচে ব্যবসায়ীর বাড়িতে খাটের নিচে, হাঁড়ির ভিতরে টাকার পাহাড়। ইডি (Enforcement Directorate) অভিযানে উদ্ধার ১৮ কোটি নগদ। মিলেছে সোনার গয়নাও। রাত পর্যন্ত নোট গোনা চলে। এদিকে এদিন কলকাতার একাধিক এলাকায় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের হানা নিয়ে মুখ খুলেছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। কেন্দ্রীয় সংস্থার তৎপরতার পিছনে দু’টি কারণ আছে বলে দাবি ফিরহাদের।
শনিবার সকালে গার্ডেনরিচ. পার্কস্ট্রিট, নিউটাউন চত্বরের একাধিক বাড়ি, অফিসে হানা দেয় এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেটের কর্তারা। সূত্রের খবর, মোবাইল অ্যাপ প্রতারণা চক্রের হদিশ পেতেই ইডির এই অভিযান। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী নিসার খানের বাড়ির খাটের তলায় নোটের পাহাড়ের হদিশ মিলেছে। শুধু তাই নয়, হাঁড়ির মধ্যেও নোটের তাড়া লুকিয়ে রাখা হয়েছিল। আপাতত ব্যাংক থেকে টাকা গোনার ৮টি মেশিন এনে নোট গোনা চলছে। শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, ১০০, ২০০, ৫০০ এবং ২ হাজার টাকার নোটের বান্ডিলে প্রায় ১৮ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।
[আরও পড়ুন: অপ্রয়োজনে অপারেশন করলে মিলবে না স্বাস্থ্যসাথীর সুবিধা, বিজ্ঞপ্তি স্বাস্থ্য দপ্তরের]
এদিকে এদিন ‘টক টু মেয়র’ কর্মসূচিতে ইডির হানা প্রসঙ্গে মুখ খোলেন ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। বলেন, “কলকাতার বিভিন্ন প্রান্তে ইডির হানার পিছনে দু’টি কারণ রয়েছে। এক, আমাদের ভয় পাওয়ানোর চেষ্টা। এসব করে তৃণমূলকে বার্তা দেওয়া হচ্ছে। যাতে তারা আর বিজেপির বিরুদ্ধে না লড়াই করা। নয়তো ব্যবসায়ীদের ভয় পাইয়ে দেওয়া। যাতে তারা বাংলায় ব্যবসা না করে ওদের রাজ্যে গিয়ে ব্যবসা করে। বাংলার অর্থনীতিকে ভেঙে দেওয়ার চেষ্টা।”
সকালে গার্ডেনরিচের ই সেভেনে নিসার খানের ফ্ল্যাটে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। খাটের তলায় নজর পড়তেই কার্যত অবাক হয়ে যান তাঁরা। দেখেন প্লাস্টিকের ব্যাগে থরে থরে সাজানো রয়েছে ৫০০ এবং ২০০০ টাকার বান্ডিল। পরিবহণ ব্যবসায়ী নিসারের নিউটাউন, তারাতলা হাইড রোডে অফিস রয়েছে। নিউটাউনের অফিসে তল্লাশি চালান ইডি আধিকারিকরা।