অর্ণব আইচ: পুজোর পর ফের ইডি (ED) তলব করতে পারে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের (Partha Chatterjee) জামাইকে। ইডির নজরে রয়েছেন প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যও। তলব করে তাঁকেও ইডি ফের জেরা করবে। ইডি-র সূত্র জানিয়েছে, সিজিও কমপ্লেক্সে পার্থবাবুর জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্যকে তলব করে প্রথম দফায় জেরা করা হয়েছে।
প্রথমে কল্যাণময় দাবি করেন যে, তিনি যে মেদিনীপুরের পিংলার স্কুল ও একাধিক কোম্পানির ডিরেক্টর বা কর্মকর্তা, তা তিনি জানতেন না। যদিও টানা জেরার মুখে তিনি অনেকটাই স্বীকার করেন যে, পার্থবাবুই তাঁকে কর্মকর্তার পদে বসিয়েছেন।
ইডির দাবি, মার্কিন মুলুকে বসেই তিনি সংস্থা ও ট্রাস্ট নিয়ন্ত্রণ করতেন। ওই সংস্থাগুলির মাধ্যমে কীভাবে কালো টাকা সাদা হয়েছে, তা কল্যাণময়বাবু জানেন। তাই আমেরিকা থেকে আসার পর তাঁর সামনে বেশ কিছু নথি ও তথ্য তুলে ধরা হয়। তারই ভিত্তিতে জেরা করলেও কিছু অসঙ্গতি মিলেছে। তাই পুজোর পর ইডি তাঁকে ফের তলব করে জেরার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আরও কয়েক দফায় জেরা করে ইডি আরও তথ্য যাচাই করবে।
[আরও পড়ুন: গার্ডেনরিচ কাণ্ড: টালিচালার বাসিন্দার ব্যাংকে ৩০ কোটি, শহরে স্বয়ংস্ক্রিয় কল সেন্টার, জালিয়াতির জাল কতদূর?]
পার্থর মেয়ে সোহিনী চট্টোপাধ্যায়ও বেশ কিছু সংস্থার কর্মকর্তা। এখন তিনি আমেরিকায় রয়েছেন। ক্রমে তাঁকেও তলব করে জেরা করা হতে পারে বলে জানিয়েছে ইডি।প্রসঙ্গত, তিনবার তলব এড়িয়ে যাওয়ার পরে অবশেষে সোমবার ইডি দপ্তরে হাজিরা দিয়েছিলেন কল্যাণময়। পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেপ্তারের পরই ইডির হাতে এসেছিল একাধিক নথি। এরপরই একাধিক প্রভাবশালীর যোগের প্রমাণ উঠে এসেছে বলেও দাবি করেন তদন্তকারীরা। সেই সময় থেকেই ইডির নজরে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য ও মেয়ে সোহিনী।
শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠার পরে গ্রেপ্তার হন প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তাঁর ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। সেখান থেকে ইডির সন্দেহের তালিকায় উঠে আসেন পার্থর মেয়ে-জামাই। তাঁদের নামে একাধিক সংস্থার হদিশ পাওয়া যায়। সেই সংস্থাগুলির মাধ্যমে মানি ট্রেল করা হত বলেও খবর। সেই সংক্রান্ত তথ্য পেতেই কল্যাণময়কে তলব করেছিল ইডি।