সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি নাটকের মানুষ। নাটক-সিনেমা-সাহিত্যই তাঁর বিচরণক্ষেত্র। পাশাপাশি তিনি শিক্ষামন্ত্রীও। আমজনতাও তাঁকে এই পরিচয়েই চেনে। কিন্তু এর বাইরেও তাঁর আরও এক পরিচিতি আছে। তিনি ফুটবল-পাগল। ফুটবল আছে তাঁর হৃদয়জুড়ে। মন্ত্রিত্বের ব্যস্ত জগতের দায়দায়িত্ব সামলেও ফুটবল তাঁর প্রাণের আনন্দ। তিনি আবার লাল-হলুদের ভক্তও। তবে মোহনবাগানের (Mohun Bagan) প্রতিও তাঁর আগ্রহ কম নয়। অতীতে মোহনবাগান মাঠে গিয়ে খেলাও দেখেছেন, যদিও ক্লাব তাঁবুর ভিতরে যাননি।
এহেন মন্ত্রী ব্রাত্য বসুর (Bratya Basu) সবুজ-মেরুন তাঁবুর অন্দরমহলে ঢোকার বাসনা পূরণ হল শুক্রবার। জানা গিয়েছে, মোহনবাগান সহ-সভাপতি কুণাল ঘোষ তাঁকে ক্লাব ক্যান্টিনের স্টু চেখে দেখার অনুরোধ করেন। মন্ত্রী সেই অনুরোধ সাদরে গ্রহণ করে কুণালের সঙ্গে ক্লাবতাঁবুতে যান।
[আরও পড়ুন: বুমরাহর প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে কাকে তিন উইকেট উৎসর্গ করলেন আকাশ?]
এদিন ক্লাব তাঁবু ঘুরে দেখেন শিক্ষামন্ত্রী। ক্লাবের ট্রফি ক্যাবিনেট দেখেন, দেখেন অমর একাদশের ছবি ও স্ট্যাচুও। বিস্তারিত খোঁজখবর নেন ওই ইতিহাস গড়া টিমের ব্যক্তিত্বদের সম্পর্কে। তাঁবুর ভিতরে মোহনবাগানের প্রাক্তন তারকা ফুটবলারদের ছবি দেখে ক্লাব সচিব দেবাশিস দত্তের সঙ্গে আলাপচারিতায় উঠে আসে ক্লাবেরই পুরানো দিনের কথা। প্রয়াত অমল দত্ত, অরুণ ঘোষ, পি কে বন্দ্যোপাধ্যায়দের কথা শোনা যায় ব্রাত্যবাবুর মুখে।
প্রসঙ্গত, কলকাতা ফুটবলের ফেলে আসা অতীতের হাঁড়ির খবর রাখেন ব্রাত্যবাবু। গড়গড়িয়ে বলে দিতে পারেন শিশির ঘোষ, মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য-সহ প্রাক্তন ফুটবলারদের প্রথম ক্লাবের নাম। কলকাতা ফুটবলের দলবদলের কথাও তাঁর কণ্ঠস্থ।
ব্রাত্যবাবু যখন ক্লাবের মাঠ ঘুরে দেখছিলেন, সেই সময়ে সেখানে হকি খেলা চলছিল। ক্লাবের পরিকাঠামোগত যে পরিবর্তন এসেছে, সে ব্যাপারে মন্ত্রীকে জানানো হয়। ক্লাব তাঁবুতে টাঙানো মোহনবাগান সভাপতি এবং সচিবদের দীর্ঘ তালিকা খুঁটিয়ে খুঁটিয়ে দেখেন তিনি। ক্লাব ক্যান্টিনের পাউরুটি-স্টু চেখে দেখেন শিক্ষামন্ত্রী ও কুণাল ঘোষ।
কাজে ঠাসা দৈনন্দিন সূচির মধ্যে অন্য মেজাজে পাওয়া গেল মন্ত্রীকে।