সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন একনাথ শিণ্ডে (Eknath Shinde)। ঘোষণা করলেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। বালাসাহেব ঠাকরেকে সম্মান জানিয়েই এই সিদ্ধান্ত, জানাচ্ছেন ফড়ণবিস। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার সময়ই শপথ নিতে চলেছেন নতুন মুখ্যমন্ত্রী। সবাইকে অবাক করে বিজেপি নেতা আরও জানিয়েছেন, তিনি মন্ত্রিসভাতেই থাকবে না।
মহারাষ্ট্রে (Maharashtra) সফল ‘অপারেশন কমল’। রাজ্য়ের মহা বিকাশ আগাড়ির সরকারের পতন হয়েছে। পরিস্থিতির চাপে পড়ে ইস্তফা দিতে বাধ্য হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী উদ্ধব ঠাকরে (Uddhav Thackeray)। এই পরিস্থিতিতে প্রত্যাশিত ভাবেই শিব সেনার (Shiv Sena) বিক্ষুব্ধদের সঙ্গে নিয়ে সরকার গড়তে চলেছে বিজেপি। সরকার গড়ার আবেদন জানাতে রাজভবনে গিয়েছেন শিণ্ডে ও ফড়ণবিস। মনে করা হচ্ছিল, মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী হবেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। উপমুখ্যমন্ত্রী হবেন একনাথ শিণ্ডে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে চমক। ফড়ণবিসের ঘোষণা, মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন শিণ্ডে। জানা যাচ্ছে, নয়া মন্ত্রিসভায় থাকতে পারেন বিজেপির ২৫ ও শিণ্ডের অনুগামী ১৩ জন।
[আরও পড়ুন: ‘মমতাকে মা সারদার সঙ্গে তুলনা করে ভক্তদের আঘাত করেছেন’! নির্মল মাজির মন্তব্যে ক্ষুব্ধ বেলুড় মঠ]
মহারাষ্ট্রের মহানাটকের সমাপ্তি যে বৃহস্পতিবারই হতে চলেছে তা পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল বুধবারই। সুপ্রিম কোর্ট আস্থাভোটের নির্দেশ দেওয়ার পরে উদ্ধব ঠাকরের কাছে ইস্তফা দেওয়া ছাড়া আর কোনও রাস্তা খোলা ছিল না। সংখ্যাতত্ত্ব মহা বিকাশ আগাড়ির পক্ষে ছিল না। এই অবস্থায় বুধবার রাতে উদ্ধব ঠাকরের ইস্তফার পর থেকেই পরিষ্কার হয়ে যায় নাটকের শেষে এবার মহারাষ্ট্রের মসনদে ফিরতে চলেছেন দেবেন্দ্র ফড়ণবিস। কিন্তু শেষ মুহূর্তে দেখা গেল শিণ্ডেকে দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছেন তিনি।
উল্লেখ্য়, সম্প্রতি একনাথ শিণ্ডে ‘বিদ্রোহী’ হওয়ার পর থেকেই ‘সিঁদুরে মেঘ’ দেখেছিলেন উদ্ধবরা। তাঁর অনুগামীদের নিয়ে গুয়াহাটির হোটেলে ওঠেন শিণ্ডে। তারপর থেকেই শুরু হয় নানা জল্পনা। শেষ পর্যন্ত পরিষ্কার হয়ে যেতে থাকে, শিণ্ডেই এখন মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে আসল ‘বাজিগর’। তাঁর অনুগামীরা উদ্ধবের হাত ছেড়ে গেরুয়া শিবিরে ভিড়লে আর কোনও আশাই অবশিষ্ট থাকবে না উদ্ধব অ্যান্ড কোংয়ের। ক্রমে সেদিকেই পরিস্থিতি গড়ায়। অবশেষে বুধবার রাতে সরে দাঁড়ানোর তথা হাল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন প্রবীণ শিব সেনা নেতা।
[আরও পড়ুন: উদয়পুর হত্যাকাণ্ড: ধৃত রিয়াজ ISIS স্লিপার সেলের প্রধান! হামলার ছক ছিল জয়পুরেও]
‘১৯-এর শেষদিকে হওয়া নির্বাচনে বিজেপির সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েই নির্বাচনে লড়েছিল শিব সেনা। সর্বাধিক আসনে জয়লাভ করেছিল গেরুয়া বাহিনী। তবে সরকারের রাশ কীভাবে রাখা হবে, সেই সমীকরণ নিয়ে জট না খোলায় দ্বিতীয় সর্বোচ্চ আসনে জেতা শিব সেনা জোট বাঁধে এনসিপি ও কংগ্রেসের (Congress) সঙ্গে। তখন থেকেই সুযোগ খুঁজছিল পদ্ম শিবির। অবশেষে বকলমে ক্ষমতায় প্রত্যাবর্তন বিজেপির।