সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: হাত ছেড়ে দেওয়া কি এতটাই সহজ! না, অন্তত ঐন্দ্রিলা শর্মার দিদি ঐশ্বর্যার কাছে একেবারেই নয়। আর তাই তো ছোট্ট বোন না ফেরার দেশে চলে গেলেও, তাঁর হাতটা ছাড়লেন না দিদি। মনের কোণে ধরেই রাখলেন। ফিরে গেলেন ছোটবেলার স্মৃতিতে। যেখানে ছোট্ট বোনের হাতটা ছিল শক্ত করে ধরা।
প্রায় ২০ দিনের কঠিন লড়াইয়ের পর রবিবার আর শেষরক্ষা হল না। সবাইকে কাঁদিয়ে না ফেরার দেশে চলে গেলেন ঐন্দ্রিলা। তাঁর এই জীবন লড়াই, সবার কাছে অনুপ্রেরণা হয়ে থেকে গেল। কিন্তু এসব ভারী ভারী শব্দে কী আর দিদির মন হালকা হয় না। তাই তো সোশ্যাল মিডিয়ায় ছোটবেলার ছবি শেয়ার করে ঐন্দ্রিলার দিদি ঐশ্বর্য লিখলেন, ‘আমার ছোট্ট বুনু …এইভাবেই সারাজীবন দুজন দুজনের হাত ধরে বেঁচে ছিলাম আছি এবং থাকবো।’
[আরও পড়ুন: প্রিয়াঙ্কা চোপড়ার লস অ্যাঞ্জেলসের বাড়িতে কী করছেন ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত? ছবি ঘিরে শোরগোল ]
একবার নয় দু-দু’বার মারণ রোগ থাবা বসিয়েছিল ঐন্দ্রিলার শরীরে। দু’বারই ক্যানসারকে নকআউট করে দিয়েছিলেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ব্রেন স্ট্রোক আর হার্ট অ্যাটাকের ছোবলের সঙ্গে বিপুল লড়েও জেতা হল না অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মার (Aindrila Sharma)। মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার হওয়ার পর আত্মীয় ও অনুরাগীদের আশা জন্মাচ্ছিল, হয়তো এই বার চেতনা ফিরবে তাঁর। কিন্তু তারপরই আবার হার্ট অ্যাটাক। একবার নয়, বারবার। হাজার চেষ্টা করেও কোমা থেকে আর কোনওভাবেই ফেরানো গেল না তাঁকে। না ফেরার দেশে চলে গেলেন বাংলা টেলিভিশনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। সবাই ভাবত ফিনিক্স পাখির মতো ঠিক ফিরে আসবেন, সব প্রতিকূলতাকে জয় করে। কিন্তু ফিনিক্স হয়েছিলেন ঐন্দ্রিলা। চলে গেলেন আলোকবর্ষ দূরে।
সুস্থ হয়ে ফের কাজ শুরু করেছিলেন ঐন্দ্রিলা। সব্যসাচী ও তাঁর বেশ সুন্দর সময় কাটছিল। কিন্তু ফের ব্রেন স্ট্রোক আবারও সমস্ত হিসেব ওলটপালট করে দিল। পয়লা নভেম্বরের রাতে ব্রেন স্ট্রোকে আক্রান্ত হন ঐন্দ্রিলা। অভিনেত্রীকে ভরতি করা হয় হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে। রাতেই হয় অস্ত্রোপচার। তারপর থেকে ভেন্টিলেশনে ছিলেন অভিনেত্রী। শনিবার রাতে অন্তত ১০ বার হৃদরোগে আক্রান্ত হন। শরীরে লড়াইয়ের আর কোনও শক্তিই যেন অবশিষ্ট ছিল না। মৃত্যুর সঙ্গে তীব্র পাঞ্জা লড়ে চিরবিদায় নিলেন তিনি।