অর্ণব আইচ: শহরের অভিজাত এলাকায় বৃদ্ধের রহস্যমৃত্যু। বালিগঞ্জ প্লেসে একটি ফ্ল্যাটের দরজা ভেঙে ওই বৃদ্ধকে উদ্ধার করে পুলিশ। এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। তদন্তে নেমেছে পুলিশ।
[শিশুচোর সন্দেহে ভবঘুরে মহিলাকে গণপিটুনি, রণক্ষেত্র টিকিয়াপাড়া]
মৃতের নাম শুভ্রজিৎ রায়। বিয়ে করেননি, বালিগঞ্জে প্লেসের একটি বহুতলের ফ্ল্যাটে দীর্ঘদিন ধরে একাই থাকতেন সত্তর বছরের ওই বৃদ্ধ। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন, বুধবার দিনভর শুভ্রজিৎবাবুর কোনও সাড়াশব্দ পাওয়া যায়নি। রাতে পুলিশে খবর দেওয়া হয়। সাড়ে দশটা নাগাদ যখন ওই বহুতলে পুলিশ পৌঁছায়, তখনও শুভ্রজিৎবাবুর ফ্ল্যাটের দরজা ভিতর থেকে লক করা ছিল। ফ্ল্যাটের দরজার বাইরে থেকে প্রথমে ডাকাডাকি করেন পুলিশকর্মী ও বহুতলেও অন্য আবাসিকরা। কিন্তু সাড়া পাওয়া যায়নি। ফলে বাধ্য হয়েই দরজা ভাঙতে হয় পুলিশকে। ফ্ল্যাটে ঢুকে দেখা যায়, ফ্ল্যাটের মেঝেতে পড়ে রয়েছেন শুভ্রজিৎ রায়। তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় এসএসকেএম হাসপাতালে। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
কিন্তু, বন্ধ ফ্ল্যাটে কীভাবে মারা গেলেন শুভ্রজিৎ রায়? প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বহুদিন ধরেই হৃদযন্ত্রের সমস্যায় ভুগছিলেন শুভ্রজিৎবাবু। নিয়মমাফিক তাঁর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ময়নাতদন্তের রিপোর্টেই মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানা যাবে। সন্তান কর্মসূত্রে অন্য শহরে কিংবা বিদেশে চলে গিয়েছেন। এ শহরে পৈতৃক বাড়ি কিংবা ফ্ল্যাটে একাই থাকতে হয় বৃদ্ধ মা-বাবাকে। আর্থিকভাবে সমস্যা হয়তো নেই, কিন্তু অসুখ-বিসুখ করলে দেখবে কে! সমস্যায় প্রবীণ নাগরিকরা। বালিগঞ্জের প্লেসে ফ্ল্যাটেও কি তেমনটাই ঘটেছিল? এক্ষেত্রে তো মৃত ব্যক্তি আবার অকৃতদারও ছিলেন। তদন্তে পুলিশ।
[ হ্যাকারদের নিশানায় কলকাতা পুরসভা, চেক ‘ক্লোন’ করে টাকা গায়েব]