অরূপ বসাক, মালবাজার: ২১ জুলাইয়ের শহিদ সমাবেশ থেকে ফেরার পথে নিখোঁজ হলেন এক প্রবীণ। উত্তরের মালবাজার থেকে ধর্মতলা গিয়েছিলেন। কিন্তু সেখান থেকে আর বাড়ি ফেরেননি। এই ঘটনায় সোমবার সকালে কলকাতার ময়দান থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করা হয়েছে।
মাল ব্লকের দক্ষিণ ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের শান্তি কলোনি এলাকার বাসিন্দা রফিকুল ইসলাম(৭০)। জানা গিয়েছে, সমাবেশে যোগ দিতে তৃণমূলের তরফে ভাড়া করা বাতানুকূল বাসে চেপে ১৯ তারিখ ওদলাবাড়ি থেকে কলকাতা গিয়েছিলেন। মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন না। রবিবার বিকেল চারটের পর ধর্মতলা বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে নিখোঁজ হয়ে যান তিনি। এমন খবরে বিভ্রান্ত রফিকুল ইসলামের পরিবার।
[আরও পড়ুন: ‘জঙ্গিদের মতো খাঁচাবন্দি’, জেল-বিভীষিকার বর্ণনা ইমরানের]
রফিকুল ইসলামের ছোট ছেলে সলমান খান বলেন, "বাবার জন্য সবাই চিন্তিত। ১৯ তারিখ ওদলাবাড়ি থেকে বাসে করে কলকাতায় যান। জীবনে প্রথমবার কলকাতায় গিয়েছিলেন বাবা। ২১ তারিখ বিকেল থেকে বাবাকে আর খুজে পাওয়া যাচ্ছে না বলে কলকাতা থেকে টেলিফোনে জানায় সমাবেশে যাওয়া আমাদের গ্রামের লোকজন।" স্বামীর চিন্তায় দুচোখের পাতা এক করতে পারছে স্ত্রী তনজিনা খাতুনও। সারাক্ষণ কেঁদেই চলেছেন। ওঁর বক্তব্য, এই বয়সে কলকাতার মতো জায়গায় কোথায় যাবে স্বামী। প্রশাসনের কাছে অনুরোধ দ্রুত স্বামীকে খুজে বাড়িতে দিয়ে যাওয়া হোক।
ওদলাবাড়ি গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান তাছিরুল হক কলকাতা থেকে ফোনে বলেন, "নিখোঁজ রফিকুল ইসলাম আমার গ্রাম সংসদের বাসিন্দা। রবিবার বিকেলে সমাবেশের প্রায় শেষলগ্নে প্রচণ্ড বৃষ্টির মাঝে ধর্মতলার বাসস্ট্যান্ডে আমরা সবাই অপেক্ষা করছিলাম। উনিও সেখানে ছিলেন।হঠাৎ করে কোথায় যে চলে গেলেন বুঝতে পারছি না। অনেক খোঁজাখুজি করেও কোনও সন্ধান না পেয়ে অবশেষে সোমবার সকালে কলকাতার ময়দান থানায় যোগাযোগ করেছি। নিখোঁজ রফিকুল ইসলামের ছবি সহ যাবতীয় তথ্য ময়দান থানার পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়েছে।" নিখোঁজ ব্যাক্তির খোঁজ খবর করার জন্য উপপ্রধান তাছিরুল হক, গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্য মহম্মদ আলাউদ্দিন-সহ আরও তিনজন কলকাতায় থেকে গিয়েছেন।