সুদীপ রায়চৌধুরী: প্রথম দফার ভোটের দিন কোচবিহারে যাবেন না। রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোসকে অনুরোধ নির্বাচন কমিশনের। সূত্রের খবর, ই মেল মারফত এই অনুরোধ জানানো হয়েছে তাঁকে। তবে কী কারণে কোচবিহারে না যাওয়ার আর্জি জানিয়েছে কমিশন, সে বিষয়ে ই-মেলে কিছুই উল্লেখ নেই বলেই খবর।
ভোটে হিংসা রোখার বার্তা দিয়েছিলেন রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস। সকাল থেকে প্রহরীর মতো রাস্তায় থাকবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। সেই মতো প্রথম দফার ভোটে কোচবিহারে থাকার কথা ছিল রাজ্যপাল বোসের। সূত্রের খবর, আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সকালে উত্তরবঙ্গ রওনা দেওয়ার কথা ছিল তাঁর। শুক্রবার অর্থাৎ প্রথম দফায় বাংলার তিন আসনে ভোট। তার মধ্যে রযেছে কোচবিহার। জানা গিয়েছে, ভোট চলাকালীন কোচবিহারেই থাকার কথা ছিল তাঁর। গোটা পরিস্থিতির উপর নিজেই নজরদারি চালাবেন বলে স্থির করেন। কথা ছিল ভোট মিটলে সন্ধেয় ফিরবেন কলকাতায়। তবে সূত্রের খবর, বুধবার দুপুরে রাজভবনে নির্বাচন কমিশনের তরফে একটি ই-মেল আসে। ওই ই-মেলেই রাজ্যপালকে কোচবিহারে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়। তবে কী কারণে কোচবিহারে না যাওয়ার আর্জি জানিয়েছে কমিশন, সে বিষয়ে ই-মেলে কিছুই উল্লেখ নেই। সম্ভবত নিরাপত্তাজনিত কারণেই তাঁকে কোচবিহারে না যাওয়ার অনুরোধ করা হয়েছে বলেই খবর।
[আরও পড়ুন: মমতার উত্তরসূরি কি অভিষেক? মুখ খুললেন তৃণমূল সুপ্রিমো]
ভোট এলে স্বাভাবিকভাবেই কোচবিহারবাসীর কাছে টাটকা হয়ে ওঠে শীতলকুচি (Sitalkuchi) কাণ্ডের স্মৃতি। সেখানে ২০২১ সালে কেন্দ্রীয় বাহিনীর গুলিতে ঘটে গিয়েছে ভয়ংকর কাণ্ড। তার পর কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও ভয় তাড়া করছে সকলকেই। কোচবিহার মানেই একদিকে নিশীথ প্রামাণিক (Nisith Pramanik) অন্যদিকে উদয়ন গুহ। এদিকে, ভোটের আগে এখনও পর্যন্ত একাধিকবার রাজনৈতিক হিংসায় উত্তপ্ত হয়েছে কোচবিহার। সব মিলিয়ে প্রথম থেকেই নির্বাচন কমিশনের বাড়তি নজর কোচবিহারের দিকে। সে কারণেই এবার ভোট চলাকালীন কোচবিহারে থাকার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। কমিশনের ই-মেলের পর কোচবিহারে আদৌ তিনি যাবেন কিনা, সেটাই এখন দেখার।