বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: কমিশনের সিদ্ধান্তে আবারও নিজেদের গণতান্ত্রিক অধিকার প্রয়োগে বঞ্চিত হলো জম্মু ও কাশ্মীরের জনতা। লোকসভার সঙ্গে একইসঙ্গে দেশের চার রাজ্যে বিধানসভা ভোট হলেও আপাতত স্থগিত রাখা হলো ভূস্বর্গের ভোট। এক দশক পরেও বিধানসভা নির্বাচন হচ্ছে না জম্মু ও কাশ্মীরে।
কিন্তু কেন উপত্যকায় ভোট ঘোষণা হল না? পাঁচ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৯ সালে নির্বাচনের (Lok Sabha Election 2019) সময় কমিশন যে অজুহাত দিয়েছিল, সেটাই আবারও শোনানো হল। ২০১৯ সালে যখন লোকসভা ভোট হয় তখনও কাশ্মীর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল। কারণ তার মাস ছয়েক আগেই মেহেবুবা মুফতির সরকার থেকে সমর্থন প্রত্যাহার করে বিজেপি। সেসময় মনে করা হচ্ছিল লোকসভার সঙ্গেই কাশ্মীরের বিধানসভা ভোটও করানো হবে। কিন্তু সেসময় মুখ্য নির্বাচন কমিশনার সুনীল অরোরা জানিয়ে দেন, নিরাপত্তার ঝুঁকি থাকছে। তাই কাশ্মীরে একসঙ্গে লোকসভা এবং বিধানসভা ভোট সম্ভব নয়। লোকসভার পরই বিধানসভা ভোট করানো হবে।
[আরও পড়ুন: বাংলায় ৭ দফায় নির্বাচন, কোন লোকসভা কেন্দ্রে কবে ভোট? রইল পূর্ণাঙ্গ তালিকা]
কিন্তু উনিশের লোকসভার পর কাশ্মীরে ভোট ঘোষণা হয়নি। উলটে ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করে দেওয়া হয়। এখনও কাশ্মীরের সেই নির্বাচন করা সম্ভব হয়নি। কাশ্মীরবাসীর আশা ছিল, অন্তত ২০২৪ লোকসভার সঙ্গে সে রাজ্যে নির্বাচন হবে। কিন্তু এবারেও হল না। এবার মুখ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব কুমার (Rajeev Kumar) বললেন, "জম্মু ও কাশ্মীর দ্রুত বিধানসভা ভোট করাতে আমরা বদ্ধপরিকর।" উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের সেপ্টেম্বরের মধ্যে কাশ্মীরে নির্বাচন করার নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। সূত্রের দাবি, বছর শেষে কয়েকটি রাজ্যের নির্বাচন রয়েছে। সেসময়ই কাশ্মীরের ভোট করানোর চেষ্টা করবে কমিশন।
[আরও পড়ুন: প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার পরিস্থিতি কেমন? চিনের মোকাবিলায় কতটা তৈরি ফৌজ? জানালেন সেনাপ্রধান]
কিন্তু কমিশনের এক কর্তা বলছেন, লোাকসভা ভোটের (Lok Sabha) সময় রমজান চলবে। ফলে প্রচারে সমস্যায় পড়তে পারেন প্রার্থীরা। তাই একসঙ্গে দু’টি ভোট করলে সমস্যা হতে পারে। তাছাড়া, আদালতের নির্দেশেই তো সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় রয়েছে। তাছাড়া নিরাপত্তার ব্যাপারটিও মাথায় রাখতে হবে। ঘটনাচক্রে এই একই অজুহাত দেওয়া হয়েছিল পাঁচ বছর আগেও।