সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও কংগ্রেসের প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীর বিরুদ্ধে নির্বাচনী আচরণ বিধিভঙ্গের অভিযোগে এবার পদক্ষেপ করল নির্বাচন কমিশন। কংগ্রেস এবং বিজেপির সভাপতিকে নোটিস পাঠিয়ে জবাব তলব করা হয়েছে। ২৯ এপ্রিল সকাল ১১টার মধ্যে জবাব দিতে হবে। সেই সঙ্গে দুই দলের দুই তারকা প্রচারককে সতর্ক করার নির্দেশও দিয়েছে কমিশন (Election Commission)। কিন্তু প্রশ্ন উঠছে, কেন সরাসরি রাহুল-মোদিকে নোটিস না পাঠিয়ে তাঁদের দলীয় নেতৃত্বের কাছে জবাবদিহি চাওয়া হল?
[আরও পড়ুন: মহিলা অসন্তোষের অভিযোগে প্রচারে যেতে ‘বাধা’! কল্যাণ-কাণ্ড নিয়ে মুখ খুললেন কাঞ্চন]
বলে রাখা ভালো, নোটিসে কোথাও মোদি (PM Modi) বা রাহুলের (Rahul Gandhi) নামও নেওয়া হয়নি। তবে সেখানে তারকা প্রচারকদের ভূমিকা সম্পর্কে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে। বলা হয়েছে, যাঁরা তারকা প্রচারক তাঁদের কাছ থেকে প্রত্যাশা করা হয় সর্বভারতীয় দৃষ্টিভঙ্গি প্রদানের মাধ্যমে উচ্চমানের বক্তব্য, যা কখনও কখনও স্থানীয় পর্যায়ে প্রতিযোগিতার উত্তাপে বিকৃত হয়ে যায়। তারকা প্রচারক সেক্ষেত্রে এমন সংশোধনমূলক পদক্ষেপ করবেন যার ফলে স্থানীয় প্রচারের সেই তীব্রতাকে কমানো সম্ভব হয়।
বিজেপির জাতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা ও কংগ্রেসের জাতীয় সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গের কাছে এই নোটিস পাঠানো হয়েছে। এর আগে আপ নেত্রী অতিশী, কংগ্রেস নেতা রণদীপ সিং সুরযেওয়ালার বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ উঠেছিল। কিন্তু সেক্ষেত্রে তাঁদের সরাসরি নোটিস পাঠানো হয়েছিল। স্বাভাবিক ভাবেই এবার তা না করায় বিস্মিত ওয়াকিবহাল মহল। এই প্রথম কোনও নেতার বিরুদ্ধে নির্বাচনী বিধিভঙ্গের অভিযোগ ওঠার পর তাঁকে নয়, তাঁর দলকে নোটিস পাঠানো হল। যা প্রশ্ন তুলে দিচ্ছে, কেন নয়া পদক্ষেপ করল কমিশন? ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, অতিশী বা রণদীপ 'তারকা' নন, তাই তাঁদের সরাসরি নোটিস পাঠানো হয়েছিল। যেহেতু মোদি ও রাহুল তারকা প্রচারক তাই তাঁদের সরাসরি না পাঠিয়ে তাঁদের দলকে পাঠানো হয়।