সুদীপ রায়চৌধুরী: রাজ্যে ফের ভোটের বাদ্যি। ২৬ জুন জিটিএ নির্বাচনের (GTA Election) দিনক্ষণ জানিয়ে দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, নির্বাচনের দিনই শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদ এবং রাজ্যের ৬ পুরসভার ৬টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হতে পারে। শুক্রবার জারি হতে পারে বিজ্ঞপ্তি। এ নিয়ে আগামিকাল অর্থাৎ বৃহস্পতিবার সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কমিশন।
বুধবার রাজ্যের স্বরাষ্ট্রসচিব পি বি গোপালিকার সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন রাজ্যে নির্বাচন কমিশনার সৌরভ দাস। সেই বৈঠকেই ভোটের দিনক্ষণ নিয়ে আলোচনা হয়। কমিশন সূত্রে খবর, আগামী ২৬ জুন শিলিগুড়ি মহকুমা পরিষদের ভোটগ্রহণ (Election) হতে পারে। একইদিনে নির্বাচন হতে পারে পুরুলিয়ার ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড, উত্তর ২৪ পরগনার পানিহাটি পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ড, দক্ষিণ দমদম পুরসভার ২৭ নম্বর ওয়ার্ড, দমদম পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড ভাটপাড়া পুরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ড এবং হুগলির চন্দননগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ড। কিন্তু কেন আবার ভোটগ্রহণ হবে এই ওয়ার্ডগুলিতে?
[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কাটল জট, ইস্টবেঙ্গলের নতুন ইনভেস্টর হচ্ছে ইমামি গ্রুপ]
ঝালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে কংগ্রেসের টিকিটে জয়লাভ করেছিলেন তপন কান্দু। বোর্ড গঠনের আগেই তাঁকে গুলি করে খুন করে দুষ্কৃতীরা। পারিবারিক না রাজনৈতিক কারণে হত্যা, জানতে সিবিআই তদন্ত চলছে এখনও। এর মাঝেই ওই ওয়ার্ডে ফের ভোটির বাদ্যি বাজতে পারে। প্রায় এখই ঘটনা ঘটেছিল পানিহাটি পুরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর অনুপম দত্তের সঙ্গেও। তাঁকে পয়েন্ট ব্ল্যাঙ্ক রেঞ্জ থেকে গুলি করে খুন করা হয়েছিল।
ভাটপাড়ার ৩ নম্বর ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণের আগে সিপিএম প্রার্থীর মৃত্যু হওয়ায়, স্থগিত ছিল নির্বাচন। ভোটের আগে মৃত্যু হয়েছিল হুগলির চন্দননগর পুরসভার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থীরও। ভোটগ্রহণ হয়নি দমদমের ৪ নম্বর এবং দক্ষিণ দমদমের ২৭ নম্বর ওয়ার্ডেও। এই ওয়ার্ডগুলোর ভোট দ্রুত সেরে ফেলতে চাইছে রাজ্য সরকার এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশন। সেই বিষয়েই আগামিকাল সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছে কমিশন।