সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ডিসেম্বরের শেষে কিংবা জানুয়ারির শুরুতে হবে ভূগর্ভস্থ কেবল বসানোর কাজ। ফলে এবারও জগদ্ধাত্রী পুজোর (Jagaddhatri Puja 2022) বিদ্যুৎহীন থাকবে চন্দননগর। এমনটাই জানিয়েছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস (Aroop Biswas)। পুজো কমিটির রিভিউ মিটিংয়ে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই দশমীর দিন নিয়ে এই গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দেন।
করোনা (Coronavirus) মহামারীর কারণে গত দু’বছর জগদ্ধাত্রী পুজোকে কেন্দ্র করে চন্দননগরে সেভাবে কোনও জাঁকজমক দেখা যায়নি। তবে এ বছর জগদ্ধাত্রী পুজোয় পুরনো চেনা ছন্দে ফিরতে চলেছে চন্দননগর। গত বছর পর্যন্ত এই কেন্দ্রীয় কমিটির অধীনে চন্দননগর ও ভদ্রেশ্বর মিলিয়ে মোট ১৭১ টি পুজো হয়েছে। এই বছর সেই সংখ্যা বেড়ে ১৭৬-এ দাঁড়িয়েছে। এর মধ্যে চন্দননগরের ১৩২টি ও ভদ্রেশ্বরের ৪৪ টি পুজো। এই বছর চন্দননগর বিসর্জনে সর্বকালের সেরা আলোক শোভাযাত্রা উপস্থাপিত করবে বলে দাবি পুজো কমিটির। সারারাত ব্যাপী এই শোভাযাত্রায় ৬১টি পুজো কমিটি অংশগ্রহণ করবে।
[আরও পড়ুন: ‘কালো টাকা সাদা করার পন্থা ডিয়ার লটারি’, বিস্ফোরক শুভেন্দু, পালটা দিল তৃণমূল]
আশা ছিল এবারে জগদ্ধাত্রী পুজোর আগেই কেবল বসানোর কাজ শেষ হয়ে যাবে। এ কাজের জন্য ১০৫ কোটি টাকা অনুমোদন করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তবে কাজ শুরু হতে হতে হয় ডিসেম্বর, নয়তো জানুয়ারি। তাই এবারেও দশমীর দিন সকাল দশটা থেকে সন্ধে ছ’টা পর্যন্ত চন্দননগরে বিদ্যুৎ থাকবে না। অবশ্য বিদ্যুৎ না থাকলেও চালু থাকবে জলের পাম্প। জেনারেটরের ব্যবস্থাও রাখা হবে বলে খবর।
এদিন জেলা প্রশাসন ও বিদ্যুৎ দপ্তরের আধিকারিকদের নিয়ে জ্যোতিরিন্দ্র সভা গৃহে বৈঠক করেন মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। বৈঠকে স্থানীয় বিধায়ক তথা মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনও ছিলেন। জগদ্ধাত্রী পুজো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়। জানা গিয়েছে, এর আগে চন্দননগরের ঐতিহ্যবাহী এই পুজোর জন্য ৩৮.৯৬ মেগা ওয়াট বিদ্যুতের প্রয়োজন হত। এবার ৫০ মেগা ওয়াট বিদ্যুৎ দরকার। WBCL-এর ৯৭.৮ মেগা ওয়াট পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহ করার ক্ষমতা রয়েছে। পলে বিদ্যুতের চাহিদা নিয়ে কোনও সমস্যা হবে না বলেই জানান অরূপ বিশ্বাস। জগদ্ধাত্রী পুজোর বিদ্যুৎ সরবরাহে যাতে কোনও সমস্যা না হয় তা দেখার জন্য ৬৬৫ জন কর্মী দিন-রাত কাজ করবেন। খোলা থাকবে বিদ্যুৎ দপ্তরের ১৩টি অফিস। ৪১টি মোবাইল ভ্যানও ঘুরবে বলে খবর।