সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: অচলাবস্থার ৮০ ঘণ্টা পার। এখনও পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার কোনও সম্ভাবনা নেই এনআরএস হাসপাতালে। তবে শুক্রবার থেকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগ খোলা থাকবে। কিন্তু আউটডোর খোলার এখনও কোনও সম্ভাবনা নেই।
বৃহস্পতিবারই এসএসকেএমের জরুরি বিভাগ খুলে দেয় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার সেই রাস্তাতেই হাঁটল এনআরএসও। কলকাতা ও জেলার প্রায় সমস্ত হাসপাতালেই আজ খোলা থাকবে জরুরি বিভাগ। এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুসারে, জুনিয়র ডাক্তাররা তাঁদের প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবেন। পরিষেবা দেবেন সিনিয়ররা। জরুরি বিভাগের রোগীদের জন্য অবশ্যই এটা সুখবর। কিন্তু বাকি সব বিভাগেই কর্মবিরতি চলবে বলে খবর। কারণ উত্তেজনার আঁচ একটুও কমেনি। বহির্বিভাগ এখনও বন্ধ। সরকারি হাসপাতাল তো বটেই, বেশি বেসরকারি হাসপাতালে আউটডোর বয়কট করেছেন জুনিয়র ডাক্তাররা।
গতকাল মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্যের পর আন্দোলনে ঘৃতাহুতি হয়। পদত্যাগ করেন এনআরএসের সুপার ও প্রিন্সিপাল। সূত্রের খবর, নিজেদের ইস্তফাপত্রে তাঁরা স্পষ্টই উল্লেখ করেছেন, প্রায় চারদিন ধরে চিকিৎসকদের কর্মবিরতি, রোগীদের যথাযথ পরিষেবা দিতে না পারা-এসবের দায় তাঁদেরই৷ পরিস্থিতির অচলাবস্থা কাটাতে তাঁরা ব্যর্থ হয়েছেন৷ আর সেই ব্যর্থতার জন্যই নিজেদের পদে থাকাটা তাঁরা আর শোভনীয় মনে করছেন না৷ সেই কারণেই ইস্তফা৷ ঘটনায় প্রশাসনের কপালে চিন্তার ভাঁজ৷ কারণ এনআরএসের সুপার ও প্রিন্সিপাল ছাড়াও সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের ৬৮ জন সিনিয়র ডাক্তার ইস্তফাপত্র পেশ করেন৷
[ আরও পড়ুন: এনআরএস হামলার নেপথ্যে কারা? ঘনীভূত হচ্ছে রহস্য ]
এনআরএসের ঘটনা ভিতর থেকে নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা দেশের ডাক্তারদের। তাই শুক্রবার দেশজুড়ে পালিত হবে কর্মবিরতি। প্রতিবাদের ডাক দিয়েছে চিকিৎসকদের সংগঠন ‘ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন’। জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, বাংলায় চিকিৎসকদের উপর আক্রমণের প্রতিবাদে শুক্রবার ‘অল ইন্ডিয়া প্রোটেস্ট ডে’ পালন করবেন দেশের চিকিৎসকরা। আইএমএ প্রেসিডেন্ট তথা তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ ড. শান্তনু সেন ও জেনারেল সেক্রেটারি ড. আর ভি অশোকনের তরফে এনিয়ে প্রেস বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
এদিকে জুনিয়র ডাক্তারদের এই কর্মবিরতি নিয়ে প্রবাসী চিকিৎসক কুণাল সাহা দায়ের করেছেন জনস্বার্থ মামলা। চিকিৎসা জরুরি পরিষেবা। যে কোনও পরিস্থিতিতেই তা চালু রাখা উচিত। বিশেষত জরুরি বিভাগ কখনওই বন্ধ রাখা উচিত নয়। আন্দোলনের জেরে কেন এমার্জেন্সি বন্ধ, তা নিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে জনস্বার্থ মামলা করেন তিনি। শুক্রবার প্রধান বিচারপতি টিভি সুব্রহ্মণ্যমের ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। কুণাল সাহার আরজি, রাজ্যের সরকারি হাসপাতালের পরিষেবা চালু করা হোক। এর জন্য যদি দরকার হয় তবে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিতেও যেন দ্বিধা না করা হয়।
[ আরও পড়ুন: অচলাবস্থার দায় নিয়ে পদত্যাগ এনআরএসের সুপার এবং প্রিন্সিপালের ]
The post এমার্জেন্সির দরজা খুলল এনআরএসে, তবে অব্যাহত জুনিয়র ডাক্তারদের প্রতিবাদ appeared first on Sangbad Pratidin.