সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পরিচালক হিসেবে প্রায় ১৫ জন নবাগতকে সুযোগ দিয়েছিলেন। পরবর্তীকালে যাঁরা তারকা বা সুপারস্টার হয়েছেন। এঁদের মধ্যে মাত্র তিনজনই খোঁজখবর নেন। বাকি সব অকৃতজ্ঞ। সোশ্যাল মিডিয়ায় এমনই অভিযোগ করলেন জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক প্রভাত রায় (Prabhat Roy)।
পরিচালক প্রভাত রায় মানেই ‘প্রতিদান’, ‘শ্বেত পাথরের থালা’, ‘লাঠি’, ‘পিতৃভূমি’, ‘শুভদৃষ্টি’, ‘যোদ্ধা’, ‘সেদিন চৈত্রমাস’-এর মতো সিনেমা। সেই পরিচালক ফেসবুকে লিখেছেন, “আমি প্রায় ১৫ জন নতুন ছেলেমেয়েকে সিনেমায় সুযোগ দিয়েছি। রূপা গঙ্গোপাধ্যায়, ঋতুপর্ণা, টোটা থেকে শুরু করে শুভশ্রী, সায়ন্তিকা। তার মধ্যে তিনজন আমাকে মনে রেখেছে। ঋতুপর্ণা, টোটা, সায়ন্তিকা। বাকি সব অকৃতজ্ঞ। একটা খোঁজও নেয় না।”
[আরও পড়ুন: বলিউডে বড় চমক, এবার এক ছবিতে অভিনয় করবেন সলমন, সোহেল, আরবাজ]
দু’টি জাতীয় পুরস্কার যে পরিচালকের ঝুলিতে রয়েছে তিনি এতটা ক্ষুব্ধ কেন? গত এপ্রিলে স্ত্রীকে হারিয়েছেন প্রভাত রায়। নিজের পোস্ট নিয়ে এক সংবাদমাধ্যমকে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে তিনি জানান, স্ত্রীর মৃত্যুর পর কেউ খোঁজ নেননি। প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় আসবে বলেও আসেননি। অভিনেতা জিৎও দেখা করেননি। ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত, টোটা রায়চৌধুরী বাড়ি গিয়ে দেখা করেছিলেন। সায়ন্তিকা ফোন করে খোঁজ নিয়েছিলেন। আর রঞ্জিৎ মল্লিককে না জানানো সত্ত্বেও তিনি এসেছিলেন। আর কেউ খোঁজ নেননি।
প্রভাত রায়ের ‘সেদিন চৈত্রমাস’ সিনেমার সংগীত পরিচালক ছিলেন কবীর সুমন। বন্ধু তথা পরিচালকের পোস্টে প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে সেকথা জানিয়ে তিনি লেখেন, “এসো, প্রভাত, আর একবার দু’জনে একসঙ্গে কাজ করি। এবারে বুড়ো হাড়ের ভেল্কি দেখাই। তুমি যখন বলবে আমি তৈরি।” এর জবাবে জাতীয় পুরস্কারজয়ী পরিচালক জানান, সুমনের মতো গুণী মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পারা তাঁর সৌভাগ্য। কাজে ফেরার ইচ্ছে তাঁর রয়েছে। শুধু সুযোগের অপেক্ষা।