সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: লাদাখের সীমান্ত থেকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহারে চিন। শুক্রবার দুদেশের মধ্যে ১৬তম বৈঠক ছিল। সেখানেই এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানা খবর। দুপক্ষই পূর্ব লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা থেকে সেনা সরিয়ে শান্তি বজায় রাখতে রাজি হয়েছে। পাশাপাশি দুদেশের সম্পর্কের উন্নতি করতেও একাধিক পদক্ষেপ করার কথা জানানো হয়েছে।
উল্লেখযোগ্যভাবে এদিনই ভারতে নিযুক্ত চিনা দূত সান উইডং উন্নয়নে দুদেশের সহযোগিতার উপর জোর দেন। তাঁর কথায়, দুদেশেরই প্রতিযোগী নয়, সহযোগীর মতো আচরণ করা উচিৎ। এরপরই ভারত-চিন সীমান্তের কার্যকলাপ নিয়ে Working Mechanism for Consultation & Coordination (WMCC)- বৈঠকে সেনা প্রত্যাহারে রাজি বলে জানায় চিন।
[আরও পড়ুন : অবশেষে পিছু হটছে ‘ড্রাগন’, পূর্ব লাদাখের তিন এলাকা থেকে সরল চিনা সেনা]
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকেই প্রকৃত নিয়্ন্ত্রণ রেখা বরাবর সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছিল চিন। তবে প্যাংগং হ্রদ এলাকায় চিনা সেনারা ঘাঁটি গেড়েছিল বলে খবর মিলছিল। এদিনের বৈঠকে সমস্ত সেনা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দুদেশের সম্পর্কের উন্নতির চেষ্টা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে। এদিনের বৈঠকে সেনা প্রত্যাহারের প্রক্রিয়ায় খতিয়ে দেখা হয়। শান্তিপূর্ণভাবে এই কাজ করার সিদ্ধান্তে সহমত হয়েছে দুদেশেই। এদিন দুদেশের বিদেশ মন্ত্রকের আধিকারিকদের মধ্যে অনলাইনে আলোচনা হয়। পরবর্তী সময়ও দুদেশের সেনা ও মন্ত্রী স্তরেও আলোচনা চলবে। এদিকে চিনা দূত সান উইডং বলেন, ভারত-চিনের মধ্যের প্রতিযোগিতার থেকে সহযোগিতা বেশি প্রয়োজন। ফলে উভয়েরই একে অপরের বিশ্বাস অর্জন করা প্রয়োজন। সন্দেহভাজন কোনও পদক্ষেপ করা উচিৎ নয় বলেও জানিয়েছেন তিনি।
[আরও পড়ুন : ড্রাগনকে পালটা, ভারতীয় বায়ুসেনার হাতে এল ৩৭টি অ্যাপাচে-চিনুক কপ্টার়়]
প্রসঙ্গত, লাদাখের চুসুল সীমান্ত লাগোয়া মল্ডোতে গত ৩০ জুন কোর কম্যান্ডার লেভেলের বৈঠকে মুখোমুখি অবস্থান থেকে সেনা পিছনো (Disengagement) এবং সেনা সংখ্যা কমানোর (Diescalation) বিষয়ে আলোচনা হয়েছিল। সেনা সূত্রের খবর, সেই বৈঠকের পর ২ জুলাই থেকে সেনা কমানোর প্রক্রিয়া শুরু হয়। তারপর ৫ জুলাই জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল এবং চিনে বিদেশমন্ত্রী তথা স্টেট কাউন্সিলরের বৈঠকে লাদাখে পর্যায়ক্রমে এই বিষয়ে ঠিক হয়। জানা গিয়েছে, গালওয়ান উপত্যকার সংঘর্ষস্থল পেট্রলিং পয়েন্ট ১৪ থেকে লালফৌজের পিছু হটার প্রমাণ মিলেছে। এদিকে, অল্প কিছু সেনা সরেছে প্যাংগং এলাকা থেকেও। কিন্তু এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, ওই এলাকা এখনও পুরোপুরি চিনাদের দখলমুক্ত নয়। সূত্রের খবর, প্যাংগংয়ের ফিংগার ৪ থেকে ফিংগার ৮-এর মধ্যে প্রায় ৩ হাজার চিনা সেনা মোতায়েন আছে। এবার সমস্ত সেনা সরিয়ে নেওয়ার বিষয়ই চিন সম্মত হয়েছে বলে সূত্রের খবর।
The post সম্পূর্ণ পিছু হটতে রাজি চিন, বৈঠকে দু’দেশের সম্পর্কের উন্নতিতে জোর appeared first on Sangbad Pratidin.