সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আগামী ৩ সপ্তাহ এখন গোটা দেশ লকডাউনে। ঠিক আমি, আপনি বা আমরা, এসময়ে নিজেদের খাদ্যসংস্থানের কথা ভাবছি, যে বাড়ির চাল-ডাল ফুরলে হঠাৎ কোথায় কী পাব! যদিও অত্যাবশকীয় দ্রব্য পাওয়া যাচ্ছে, কিন্তু এই লকডাউন পরিস্থিতিতে বাড়ির বাইরে পা রাখার সাহস খুব কেউ একটা করছেন না! রেস্তরাঁ কিংবা ফুটপাতের খাবারের দোকানগুলোও বন্ধ। অতঃপর বাড়িতে মজুদ রসদ ফুরোলে আর গতি নেই। ঠিক এই পরিস্থিতিতেই বয়স্ক মানুষের জন্য এগিয়ে এলেন বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা।
রিপোর্ট বলছে, COVID-19 সংক্রমণের ক্ষেত্রে পঞ্চাশ পেরনো কিংবা ষাটোর্দ্ধ মানুষদের ঝুঁকি সবচাইতে বেশি। অতঃপর সাবধানতা অবলম্বনে বাড়িতে থাকার পরামর্শই দিচ্ছেন চিকিৎসকরা। কিন্তু খাবার ফুরিয়ে গেলে? বয়স্কদের অনেকেরই ছেলেমেয়েরা হয়তো থাকেন দেশের বাইরে, কেউ বা আবার অন্য শহরে। শরীর খারাপ হলে দেখতে আসার উপায়টুকুও এখন নেই। এই কঠিন পরিস্থিতিতে মা-বাবাদের নিয়ে কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে অনেকেরই। এমতাবস্থায়, সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন বলিউড অভিনেত্রী দিয়া মির্জা।
মুম্বইয়ের যে অঞ্চলে তিনি থাকেন, সেখানকার বাসিন্দাদের সিংহভাগই বয়স্ক। তাই তাঁদের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে সরকারকে আরজি জানিয়েছেন লকডাউনের মাঝেও কী করে বয়স্ক মানুষদের প্রয়োজনীয় জিনিসের ব্যবস্থা করা যায়, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করতে। কারণ, বয়স্করা বাড়ির বাইরে বেরতে পারছেন না ঝুঁকি নিয়ে। উপরন্তু, অনলাইন সবজিপাতি কেনার সুযোগও নেই। সেটাও বন্ধ। আগে যারা রোজ এলাকায় সবজি-ফল বিক্রি করতে আসতেন, লকডাউনের জেরে তাঁরাও আসতে পারছেন না। অতঃপর, দীর্ঘকাল ধরে সেই এলাকার বাসিন্দা হওয়ায় দিয়া নিজে উদ্যোগ নিয়েছেন। ২ জন করে সবজি এবং ফল বিক্রেতাদের ঠিক করেছেন। যাঁরা সপ্তাহে ২ দিন করে এসে এলাকার বয়স্ক মানুষদের প্রয়োজনীয় খাবারের সামগ্রী দিয়ে যাবেন।
[আরও পড়ুন: লকডাউনের মাঝেও সচেতনতা অবলম্বন করে রাস্তার কুকুরদের খাওয়ালেন শ্রীলেখা মিত্র ]
সেলফ কোয়ারেন্টাইনে থেকেও কীভাবে সমাজের কাজে এগিয়ে আসা যায়, তারই প্রমাণ দিলেন অভিনেত্রী দিয়া মির্জা। এমনটাই বলছেন অভিনেত্রীরা।
[আরও পড়ুন: করোনা: সরকারি স্বাস্থ্যখাতে অর্থসাহায্য দক্ষিণী তারকাদের, ৪ কোটি দিলেন প্রভাস ]
The post অভিনব উদ্যোগ, হোম কোয়ারেন্টাইনে থাকা বয়স্কদের জন্য খাদ্যসংস্থানের ব্যবস্থা দিয়া মির্জার appeared first on Sangbad Pratidin.
