সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কেওড়াতলা মহাশ্মশানে সম্পন্ন হল ঐন্দ্রিলা শর্মার শেষকৃত্য। পঞ্চভূতে বিলীন হলেন অভিনেত্রী। শেষ যাত্রায় পরিবার, প্রেমিক সব্যসাচী চৌধুরী-সহ ছিলেন অভিনয় জগতের বন্ধু-বান্ধব, অনুরাগীরা। চোখের জলে ঐন্দ্রিলাকে শেষ বিদায় জানালেন সকলে।
লড়াইটা শুরু হয়েছিল প্রায় ৭ বছর আগে। দু’বার ক্যানসারকে হারিয়ে ফিরে এসেছিলেন একগাল হাসি মুখ নিয়ে। শারীরিক অসুস্থতা সত্ত্বেও স্বাভাবিক ছন্দেই চলছিল জীবন। হঠাৎ ঝড়ে এলোমেলো হয়ে গিয়েছে সবটা। গত ২০ দিন হাসপাতালে যমে-মানুষে টানাটানি শেষে রবিবার মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন বছর ২৪-এর অভিনেত্রী ঐন্দ্রিলা শর্মা (Aindrila Sharma)। এদিন বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ হাওড়ার হাসাপাতাল থেকে কুঁদঘাটের আবাসনের উদ্দেশ্যে রওনা হয় ঐন্দ্রিলার দেহ। এদিকে ঐন্দ্রিলাকে শেষ দেখা দেখতে তাঁর বাড়ির সামনে ভিড় করেন প্রতিবেশী থেকে টলিউডের কলাকুশলীরা। ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। সওয়া পাঁচটা নাগাদ কুঁদঘাটের আবাসনে পৌঁছয় ঐন্দ্রিলার দেহ।
[আরও পড়ুন: দিল্লির ঘটনায় অনুপ্রাণিত হয়ে খুন! চাঞ্চল্যকর দাবি বারুইপুরে নিহত প্রাক্তন নৌসেনা কর্মীর ছেলের]
এদিন কুঁদঘাটের আবাসনে পৌঁছনোর পর ঐন্দ্রিলাকে নিজে হাতে সাজিয়ে দেন আপনজনেরা। তাঁর দেহের কাছে নিয়ে আসা হয় প্রিয় পোষ্যকে। প্রতিবেশী থেকে বন্ধুবান্ধব সকলের চোখে জল। সদা হাসি মুখে ঘোরা ঐন্দ্রিলা আর কোনওদিনও ফিরবে না ওই বাড়িতে, কথা বলবে না কারও সঙ্গে, তা মেনে নিতে পারছেন না প্রতিবেশীরা। শর্মা পরিবারের ঘনিষ্ঠ এক প্রতিবেশী জানান, নিয়মিত তাঁর সঙ্গে হাঁটতে যেতেন ঐন্দ্রিলা। নানারকম গল্প করতেন তাঁরা। সেই মেয়ে আর কোনওদিন গল্প করবে না। ওই মুখটা আরও কোনওদিনও দেখতে পাবেন না, তা মানতেই পারছেন না তিনি। সেখানে বেশ কিছুক্ষণ রাখার পর দেহটি নিয়ে যাওয়া হয় টেকনিশিয়ান স্টুডিওতে। সেখানে শ্রদ্ধাজ্ঞাপনের পর অভিনেত্রীর দেহ নিয়ে যাওয়া হয় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। সেখানে দাহ করা হয় দেহ। মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন বন্ধুবান্ধবও। স্তব্ধ প্রেমিক সব্যসাচী। দাহের মুহূর্ত পর্যন্ত প্রেমিকার কাছেই ছিলেন তিনি।