সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সোশ্যাল মিডিয়ায় উসকানিমূলক বার্তা ছড়ানোর অভিযোগে কঙ্গনা রানাউত (Kangana Ranaut) এবং তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের (Rangoli Chandel) বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার নির্দেশ দিল বান্দ্রা মেট্রোপলিটন কোর্ট। শোনা গিয়েছে, মুনওয়ার আলি সায়েদ নামের এক কাস্টিং ডিরেক্টরের অভিযোগের ভিত্তিতে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
শোনা গিয়েছে, নিজের অভিযোগে আদালতকে মুনওয়ার জানান, তিনি বেশ কিছুদিন ধরে কাস্টিং ডিরেক্টর হিসেবে বলিউডে কাজ করছেন। সোশ্যাল মিডিয়া এবং সংবাদমাধ্যমে কঙ্গনা এবং তাঁর দিদি রঙ্গোলি চান্দেলের সাক্ষাৎকার, মন্তব্য দেখছেন। দুই জন মিলে ক্রমাগত বলিউড তারকাদের আক্রমণ করে চলেছেন। নেপোটিজম, ফেভারিটিজম, মাদক যোগের প্রসঙ্গ তুলে ক্রমাগত মানহানিকর মন্তব্য করে চলেছেন। এমনকী ধর্মীয় উসকানিমূলক মন্তব্যও করেছেন। কিসের কারণে ক্রমাগত এমন মন্তব্য কঙ্গনা এবং তাঁর দিদি করে চলেছেন? তা খতিয়ে দেখা প্রয়োজন বলে মনে করেন মুনওয়ার। সেই জন্যই ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৫৩এ, ২৯৫এ, ১২৪ ধারায় দুজনের বিরুদ্ধে মামলা নথিভূক্ত করার আবেদন জানিয়েছিলেন তিনি। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে FIR-এর নির্দেশ দিল বান্দ্রা মেট্রোপলিটান কোর্ট।
[আরও পড়ুন: বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের পর জোর করে গর্ভপাত! আইনি বিপাকে মিঠুনের ছেলে ও স্ত্রী]
উল্লেখ্য সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর পর থেকেই বলিউডের ‘মুভি মাফিয়া’র বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছেন কঙ্গনা। পরে আবার মুম্বইকে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সঙ্গে তুলনা করে শিব সেনার সঙ্গে বিবাদে জড়িয়েছেন। কঙ্গনার অফিস ভাঙার সেই মামলা এখনও আদালতে চলছে। এর মধ্যেই আবার প্যারিস হত্যাকাণ্ডে সরব হয়েছেন বলিউডের ‘কন্ট্রোভার্সি ক্যুইন’। ঘটনার জেরে নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে লেখেন, “একটি কার্টুনের জন্য এক শিক্ষকের মাথা কেটে ফেলা হল। আমি শুধু কল্পনা করতে পারি অতীতে আমাদের লোকজনের কী অবস্থা করেছিল এই হানাদাররা। আজকের ডিজিটাল যুগে শিক্ষিত হয়েও এদের আচরণ রাক্ষসের মতো। যাযাবর অবস্থায় এরা ভারতের কী দশা করেছিল।” পরে আবার আমির খানের ছবি ‘পিকে’র একটি দৃশ্য শেয়ার করা টুইটের প্রেক্ষিতে মন্তব্য করেন, “যদি হিন্দুরা তথকথিত শান্তির বদলে ধর্মীয় অসহিষ্ণুতা প্রদর্শন করত তাহলে অনেকদিন আগেই বলিউডের মুণ্ডচ্ছেদ হয়ে যেত।”