চল্লিশ দিন ধরে যমে-মানুষে চূড়ান্ত টানাপোড়েন। হার মানলেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায় (Somitra Chatterjee)। রবিবার বেলা ১২টা ১৫ নাগাদ না ফেরার দেশে পাড়ি দিলেন ‘ফেলুদা’। চোখের জলে ভাসছেন অনুরাগীরা। নজর রাখুন আপডেটে:
সন্ধে ৭.৩০: “সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যু এক গভীর দুঃখজনক ঘটনা। বাংলা চলচ্চিত্র চিরকাল তাঁর কাছে ঋণী থাকবে। আমি তাঁর পরিবার পরিজনকে সমবেদনা জানাই।” শয্যাশায়ী হয়েই শোকবার্তা জ্ঞাপন রাজ্যের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের।
সন্ধে ৭.০৩: কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শেষকৃত্য বর্ষীয়ান অভিনেতার।
সন্ধে ৬.৫৮: বাবাকে শেষশ্রদ্ধা জানালেন মেয়ে পৌলমী বসু। কান্নায় ভেঙে পড়লেন তিনি।
সন্ধে ৬.৪৮: রাজ্যের তরফে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে দেওয়া হল গান স্যালুট।
সন্ধে ৬.৩৮: কেওড়াতলা মহাশ্মশানে পৌঁছল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দেহ।
বিকেল ৫.৩২: পদযাত্রায় সামিল মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিকেল ৫.২৭: রবীন্দ্রসদন থেকে কেওড়াতলা মহাশ্মশানের পথে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দেহ।
বিকেল ৫.০৯: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রবীন্দ্রসদনে পৌঁছলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিকেল ৪.৫১: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ পরিচালক শিবপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “বাংলা সিনেমা সত্যিই অভিভাবকহীন হল। বাংলা সিনেমার শেষ লেজেন্ড চলে গেল।”
বিকেল ৪.৫০: “অভিনয় জগতে তৈরি হল বিরাট শূন্যতা”, সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকবার্তা বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার।
দুপুর ৩.৫২: “আজকে যে ক্ষতি হল এই ক্ষতি কোনওদিনই পূরণ করা যাবে না। নক্ষত্রপতন শব্দটা শুনতে পোশাকি, কিন্তু খুব সত্যি কথা। বিশাল বড় ক্ষতি এটা”, প্রতিক্রিয়া আবির চট্টোপাধ্যায়ের।
দুপুর ৩.৪২: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে স্মৃতিমেদুর প্রখ্যাত নাট্যব্যক্তিত্ব বিভাস চক্রবর্তী। তিনি বলেন, “৪০ বছর ধরে পাশাপাশি বাড়িতে আছি। নাটক কিংবা গল্প লিখেছেন, ডেকে শোনাতেন। কবিতা লিখলেও শোনাবার জন্য ডাকতেন। আমি, মনোজ মিত্র যখন বিদেশে গিয়েছিলাম ওনার ডাকে। যাওয়ার পথেও প্লেনে কবিতা শুনিয়েছেন। পেশদার রঙ্গালয়ে নতুন ধারার প্রবর্তন করেছিলেন ‘নামজীবন’ নাটকের মাধ্যমে। তাঁর অভিনয় খুব একটা উচ্চকিত নয়, যদি না প্রয়োজন হয়।”
দুপুর ৩.৩৪: বর্ষীয়ান অভিনেতার মৃত্যুতে শোকস্তব্ধ জয় গোস্বামী। তিনি বলেন, “বিশ্বে এমন কোনও চলচ্চিত্র অভিনেতা নেই যাঁর কবিতা সমগ্র, নাটক সমগ্র। তিনি এক্ষণের মতো পত্রিকা সম্পাদনা করেছেন। এত ব্যস্ততার মধ্যেও মঞ্চে ‘কিং লিয়ার’, ‘উমাপাখি’র মতো নাটক করেছেন। কবি সত্ত্বাও জিইয়ে রেখেছিলেন। ২০২০-তেও তাঁর কবিতার বই বেরিয়েছে। তাঁর মতো পড়ুয়াও দেখিনি। এত বড় মানুষের কোনও অহংকার ছিল না। তাঁর চলে যাওয়া কবিতার পক্ষেও বড় শূন্যতা সৃষ্টি করল। ”
দুপুর ৩.৩০: রবীন্দ্রসদনে শায়িত বর্ষীয়ান অভিনেতা সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের দেহ।
দুপুর ৩: সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্টের মাধ্যমে শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপন সৃজাত বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
দুপুর ২.৫০: টেকনিশিয়ান স্টুডিওয় পৌঁছল সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মরদেহ।
দুপুর ২.৩৯: প্রয়াত সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়কে টুইটে শেষ শ্রদ্ধা জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
দুপুর ২.২৮: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে স্মৃতিমেদুর সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়।
দুপুর ২.২৭: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন অমিত শাহের।
দুপুর ২.২১: বেলভিউ থেকে গল্ফ গ্রিনের বাড়িতে পৌঁছল বর্ষীয়ান অভিনেতার দেহ।
দুপুর ২.০৭: বেলভিউ থেকে গল্ফ গ্রিনের বাড়ির পথে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শববাহী গাড়ি।
দুপুর ২: হাসপাতাল থেকে বের করা হচ্ছে সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের মরদেহ।
দুপুর ১.৪২: “তাঁর মৃত্যু নেই”, সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট জয়া আহসানের।
দুপুর ১.৩৫: “আকাশ থেকে এমন এক নক্ষত্র খসে পড়ল যাঁর সঙ্গে কাজ করার সৌভাগ্য হয়েছিল।” স্মৃতিমেদুর ঋতুপর্ণা সেনগুপ্ত।
দুপুর ১.৩১: “সাংবাদিক বন্ধুদের অনুরোধ দয়া করে আমাকে ফোন করে প্রতিক্রিয়া চাইবেন না। এই বেদনা খুবই ব্যক্তিগত। ভাষায় ব্যক্ত করা যায় না। শুধুমাত্র আমার।” সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের প্রয়াণে এই কথাই টুইটারে লিখেছেন পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়।
দুপুর ১.২৪: টুইটে বর্ষীয়ান অভিনেতাকে শ্রদ্ধাজ্ঞাপন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের।
দুপুর ১.১৯: “তুমি যেখানেই থেকো ভাল থেকো, তোমাকে খুব মিস করব ছানা দাদু।”, টুইটারে শোকবার্তা জানিয়ে লিখেছেন অভিনেতা-সাংসদ দেব। ‘সাঁঝবাতি’ ছবিতে একসঙ্গে কাজ করেছিলেন দু’জনে।
দুপুর ১.১৫: সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “সারা বিশ্ব চলচ্চিত্র জগতের মহান প্রতিভাবান বরণীয় স্মরণীয় মানুষকে হারাল। যার সিনেমা, নাটক, কবিতা এবং গণ অন্দোলনেও, মানবিক আন্দোলনেই ছুটে গিয়েছিলেন। শেষ কথা হয়েছিল যখন তিনি কোভিড আক্রান্ত হয়েছিলেন। মেদিনীপুরে ছিলাম। কোভিড কিন্তু নেগেটিভ হয়ে গিয়েছিল। পারিপার্শ্বিক আরও অনেক কিছু ছিল। প্রত্যেকে সাধ্যমতো চেষ্টা করেছেন। আমরা তাঁকে ধরে রাখতে পারিনি। মৃত্যু নির্মম হলেও বাস্তব। আজকের দিনে আমরা হারিয়েছি আমাদের এক চির ইতিহাসকে। যে জায়গায় সৌমিত্রদা পৌঁছেছিলেন সেখানে যেতে অনেক সংগ্রাম, অধ্যাবসায় লাগে।” বাড়ির পর টেকনিশিয়ান স্টুডিও, রবীন্দ্রসদন হয়ে দেহ পদযাত্রা করে নিয়ে যাওয়া হবে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে। গান স্যালুটের পরই সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শেষকৃত্য হবে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ১: মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের পর সৌমিত্র কন্যা পৌলমী জানান, বেলভিউ হাসপাতাল থেকে বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। সাড়ে তিনটে নাগাদ রবীন্দ্রসদনে নিয়ে যাওয়া হবে। সেখানে দেহ শায়িত থাকবে ঘণ্টাদুয়েক। জানানো যাবে শেষ শ্রদ্ধা। এরপর পদযাত্রা করে কেওড়াতলা মহাশ্মশানে নিয়ে যাওয়া হবে দেহ। সেখানেই হবে শেষকৃত্য। চিকিৎসক অরিন্দম করকে ধন্যবাদ জানান তিনি। বলেন, “তাঁর মতো চিকিৎসক আরও প্রয়োজন। হয়তো উনি হেরে গেলেন কিন্তু চিরকাল আমাদের মধ্যে থেকে যাবেন। সকলকে বলছি দুঃখ পাবেন না। কষ্ট পাবেন না।”
বেলা ১২.৫২: বেলভিউ হাসপাতালে পৌঁছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কথা প্রয়াত অভিনেতার মেয়ে পৌলমীর সঙ্গে।
বেলা ১২.৫১: হাসপাতালের সামনে ভিড় অগণিত অনুরাগীদের।
বেলা ১২.৩২: “এই বছরটা সমস্ত কিছু কেড়ে নেবে। অভিভাবক, কিংবদন্তি, ছেলেবেলা, নস্টালজিয়া, সমস্ত কিছু। নিষ্ঠুর বছর।” লিখলেন শোকাতুর স্বস্তিকা মুখোপাধ্যায়।
বেলা ১২.১৫: বেলভিউ হাসপাতালের তরফে ঘোষণা করা হয় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়।
সকাল ১১.৩০: হাসপাতালে পৌঁছন স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
সকাল ১১: বেলভিউ হাসপাতালে যান পুলিশ কমিশনার অনুজ শর্মা।
সকাল ৮: সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়ের শারীরিক অবস্থা অত্যন্ত সংকটজনক।