‘বব বিশ্বাস’ (Bob Biswas) মুক্তি পাওয়ার আগে বললেন অভিষেক বচ্চন (Abhishek Bachchan )। কথোপকথনে বিদিশা চট্টোপাধ্যায়।
‘বব বিশ্বাস’ ছবির ট্রেলার মুক্তি পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আলোড়ন। সোশ্যাল মিডিয়া রীতিমতো দ্বিধাবিভক্ত। কারও দারুণ মনে ধরেছে নতুন ‘বব বিশ্বাস’ অভিষেক বচ্চনকে। কেউবা ‘কাহানি’ ছবির ‘বব’ অর্থাৎ শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে এখনও ভুলতে পারেননি। নেটিজেনদের একাংশ মনে করছেন দিয়া অন্নপূর্ণা ঘোষ পরিচালিত ‘বব বিশ্বাস’-এ তাঁকে ‘কাস্ট’ করা যেতে পারত। অন্যদিকে আবার নতুন ‘বব’ অভিষেককে আপন করেছেন অনেকেই। স্বয়ং বিগ বি টুইট করেছেন তিনি নিজের ছেলেকে নিয়ে গর্ববোধ করছেন।
অভিষেক বচ্চন যখন সাক্ষাৎকার দিতে রাজি হলেন, স্বাভাবিকভাবেই এমন অনেক প্রশ্ন মাথায় আসে। তবে টেলিফোনে জুম ইন্টারভিউয়ের আধঘণ্টা আগেই মুম্বইয়ের টিম থেকে বলে দেওয়া হল শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে প্রশ্ন করা যাবে না। শুধু তাই নয়, সদ্য মুক্তিপ্রাপ্ত ‘বান্টি অউর বাবলি টু’-র প্রসঙ্গও তোলা যাবে না। এবং আসন্ন ‘বব বিশ্বাস’ যেহেতু থ্রিলার সেটা নিয়ে আর কতটা খোঁড়াখুঁড়ি করা যায়! সেসব বাদ দিয়ে প্রশ্ন করা হল, বেশ সংযত উত্তরও দিলেন অভিনেতা।
আপনার আগের ছবি ‘লুডো’ এবং ‘বিগ বুল’ OTT প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেয়েছিল। ‘বব বিশ্বাস’ Zee5 প্ল্যাটফর্মে মুক্তি পেতে চলেছে। সিনেমা হলে ছবিমুক্তির অভ্যাস কাটিয়ে OTT-তে ছবিমুক্তি কেমন লাগছে?
ইট ফিলস গ্রেট! OTT প্ল্যাটফর্ম খুব উত্তেজক একটা মিডিয়াম। নতুন নতুন গল্প এক্সপ্লোর করা যায়। এটা বলব না যে OTT-তে ছবি দেখার অভিজ্ঞতা, থিয়েটারে সিনেমা দেখার অভিজ্ঞতাকে রিপ্লেস করার জন্য তৈরি হয়েছে। এটাকে আমি একটা নতুন দিক হিসাবে দেখি।
ট্রেলারের ফিডব্যাক কেমন পাচ্ছেন? মিস্টার বচ্চন তো আপনার খুবই প্রশংসা করেছেন!
ট্রেলারের রেসপন্স খুব ভাল। হ্যাঁ, ওঁর প্রশংসায় আমি খুবই আপ্লুত। ছবিমুক্তির আগে ট্রেলার হল টেস্ট ড্রাইভের মতো। সেদিক থেকে দেখতে গেলে দারুণ রেসপন্স।
আপনি এই চরিত্রে অভিনয় করতে রাজি হলেন কেন? স্ক্রিপ্ট-এর কোন দিকটা আপনাকে উৎসাহিত করেছিল?
আমি স্ক্রিপ্ট পড়ার আগেই হ্যাঁ বলেছিলাম। ইমোশনাল গ্রাউন্ডে ছবিটা করতে রাজি হয়েছি। সুজয় (ঘোষ) আমার খুব কাছের বন্ধু। আর ওঁর মেয়ের এটা প্রথম ছবি, পরিচালক হিসাবে। তারপর স্ক্রিপ্টটা পড়ে আশ্বস্ত হয়েছিলাম। কারণ এটা সত্যিই একটা দারুণ চরিত্র।
‘বব বিশ্বাস’ বেশ জটিল চরিত্র।
[আরও পড়ুন: Antim Review: সলমন ম্যাজিক কি ‘অন্তিম: দ্য ফাইনাল ট্রুথ’ ছবিকে উতরে দিতে পারল?]
চেহারার মিল যদি বাদ দিই, কীভাবে নিজেকে তৈরি করেছিলেন?
আমার মতে, চরিত্রের মতো দেখতে লাগলে ৫০% অফ দ্য জব ইজ ডান। এটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটা দিক। আর সুজয় এবং দিয়া খুব যত্ন করে খুঁটিনাটি দিক মাথায় রেখে চরিত্রটা তৈরি করেছে। ববের লুক, ওর ফিজিক্যালিটি– সবকিছুই মাথায় রেখে ‘বব’-এর চরিত্রটা লেখা হয়েছে। সেইসব দিক ডিসকাস করেই অভিনয়টা করা।
অভিনেতা হিসাবে আপনার নিজের ইনপুট যদি শেয়ার করেন…
এটা নিয়ে কথা বলতে আমার একটু অস্বস্তি হয়। আপনি ছবিটা দেখুন, যদি ছবি দেখার পর আমার অবদান চোখে ধরা পড়ে, তাহলেই সেটা যথাযথ হবে। আর নিজের ঢাক নিজে পেটাতে আমি একেবারেই স্বচ্ছন্দ নই।
আপনি এর আগেও কলকাতায় শুটিং করেছেন। ষোলো বছর আগে ‘যুবা’, তারপর আবার ঋতুপর্ণ ঘোষের ছবি ‘অন্তর মহল’, এবং তারপর ‘বব বিশ্বাস’। শহরটাকে বদলাতে দেখেছেন। কোনও বিশেষ স্মৃতি?
কলকাতায় শুটিং করা আমার জন্য সবসময় খুব আনন্দের। আমি খুব খুশি হয়েছি যে সুজয় আর দিয়ার জন্য এই অভিজ্ঞতাটা আমার আবার হল। ওদের সঙ্গে শহরটাকে আমি নতুনভাবে চিনেছি। আর প্রতিটা শহরই বদলায়। ‘যুবা’-র শুটিং করেছিলাম সেই ১৬-১৭ বছর আগে। তারপর অনেকটা সময় পেরিয়েছে। শহর উন্নত হয়েছে, পারিপার্শ্বিক বদলেছে, কিন্তু কলকাতার হৃদয়ে যে উষ্ণতা সেটা প্রতিবার এসে টের পাই। আবেগ, কলকাতার একটা চারিত্রিক সৌন্দর্য। এটা আমি আমার বাবার মুখেও বহুবার শুনে এসেছি। এবং নিজে যতবার এখানে এসেছি সেটা টের পেয়েছি। দ্যাট ইজ বিউটিফুল।
আপনার ফিল্ম কেরিয়ারের প্রায় কুড়ি বছর হতে চলল। যদি জানতে চাই, কোন ছবিগুলো অভিনেতা হিসাবে সবচেয়ে সমৃদ্ধ করেছে? আপনাকে অভিনেতা হিসাবে বদলেছে…?
প্রতিটা ছবি কিছু না কিছু দিয়েছে। অভিনেতা হিসাবে আমাকে বদলেছে। ইফ এ ফিল্ম ডাজ নট চেঞ্জ ইউ, ইউ শুড নট বি ডুইং ইট। এমনকী ‘বব বিশ্বাস’ ছবিতে অভিনয় করাও একটা দারুণ প্রাপ্তি। দিয়ার পরিচালনায় কাজ করার অভিজ্ঞতা দারুণ। আর দারুণ সব অভিনেতারা কাজ করেছেন। দুর্দান্ত টিম। অনেক কিছু শিখেছি। হোয়েন ইউ ডু এ ফিল্ম ইউ শুড বি এবল টু সে দ্যাট ইউ হ্যাভ কাম আউট অ্যাজ এ রিচার পার্সন। অ্যান্ড বব ওয়াজ এগজ্যাক্টলি দ্যাট।