সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুরনো মামলা এখনও পিছু ছাড়ছে না ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ অভিনেতা অভিনেত্রীদের। কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় ফের তাদের তলব করেছে আদালত।
১৯৯৮ সালে ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং করতে গিয়ে কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার অভিযোগ ওঠে ছবির কয়েকজন অভিনেতা ও অভিনেত্রীর বিরুদ্ধে। তাঁদের মধ্যে ছিলেন সলমন খান, টাবু, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম ও সইফ আলি খান। মামলায় একমাত্র দোষী সাব্যস্ত হন সলমন খান। বাকিদের বেকসুর খালাস করে আদালত। এরপর সলমনের বিচার হয়। তাতে সাজা ঘোষণাও হয়। কিন্তু এবার তাদের ফের তলব করল আদালত।
রাজস্থানের নিম্ন আদালত টাবু, সোনালি বেন্দ্রে, নীলম ও সইফকে নির্দোষ ঘোষণা করলেও রাজস্থান সরকার এই নির্দেশ মানতে পারেনি। সরকারের তরফ থেকে রাজস্তান হাই কোর্টে আপিল করা হবে বলে খবর। তবে কবে তারা হাই কোর্টের দ্বারস্থ হবে তা এখনও জানা যায়নি।
[ গণপতির আরাধনায় মারাত্মক ভুল! নেটিজেনদের কটাক্ষের মুখে ক্যাটরিনা ]
অক্টোবর, ১৯৯৮। চলছিল ‘হাম সাথ সাথ হ্যায়’ ছবির শুটিং। যোধপুরে সেই শুটিং চলাকালীনই কৃষ্ণসার হরিণকে হত্যা করার অভিযোগ ওঠে সলমন খানের বিরুদ্ধে। একই দায়ে পড়েন সইফ আলি খান, টাবু, নীলম-সহ একাধিক তারকা। প্রায় কুড়ি বছর আগের ঘটনা। বিরল প্রজাতির কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা বন্যপ্রাণ আইন অনুযায়ী দণ্ডনীয় অপরাধ। বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ এই হরিণকে সন্তানস্নেহেই পালন করেন, রক্ষাও করেন। অভিযোগ, শুটিং চলাকালীন নিজেই গাড়ি চালিয়ে শিকারে বেরিয়েছিলেন সলমন। সেই গাড়িতে ছিলেন টাবু, সইফ, সোনালি বেন্দ্রেরাও। গাড়ির মধ্য থেকেই গুলি করে হরিণ হত্যা করেন সলমন। গুলির আওয়াজ শুনে দৌড়ে এসেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। মৃত হরিণটিকে পড়েও থাকতে দেখেন তাঁরা। পাশাপাশি যে জিপসি গাড়িটি সলমন চালাচ্ছিলেন সেটিও দেখতে পান। গাড়ির পিছনে ধাওয়া করেন তাঁরা। কিন্তু গতি বাড়িয়ে এলাকা থেকে উধাও হয়ে যান তারকারা। এরপরই সলমনের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইন ও কৃষ্ণসার হরিণ হত্যার মামলা রুজু হয়।
[ ‘উত্তরপ্রদেশ’ শব্দে আপত্তি, সেন্সর গেরোয় ‘হইচই আনলিমিটেড’ ]
The post কৃষ্ণসার হরিণ হত্যা মামলায় ফের বিপাকে সোনালি-সইফ appeared first on Sangbad Pratidin.