সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: পুজো আসছে।উদ্যোক্তাদের নাওয়া-খাওয়ার শেষ নেই। নানা থিমে সেজে উঠছে মণ্ডপ। আর যত দিন এগিয়ে আসছে তত যেন কমে আসছে খুদেদের খেলার জায়গাটুকু। এমনিতেই অট্টালিকার ভিড়ে খেলার মাঠ উধাও। আছে বলতে পাড়ায় পাড়ায় কয়েকটা ছোট্ট পার্ক। সেখানেই স্কুল ফেরত বাচ্চাদের সখ্য ধুলো-মাটির সঙ্গে। সেখানেই শৈশবের বিকেলের খানিকটা কাটানোর ফুরসত পায় তারা। কিন্তু পুজোর দৌলতে তাও চুরি যেতে বসেছে। এবার তা ফিরিয়ে দেওয়ার আবেদন জানালেন পরিচালক সুজিত সরকার।
[ পুজোয় শিশুশ্রমিকদের হারানো স্বপ্নে সেজে উঠছে তেলেঙ্গাবাগান ]
বাচ্চাদের কথা বরাবরই ভাবায় পরিচালককে। তাঁর ছবির মধ্যেও কোথাও যেন একটা শিশু লুকিয়ে থাকে। ‘পিকু’ ছবিটি যাঁরা দেখেছেন তাঁরা জানেন, ভাস্কর ব্যানার্জি প্রৌঢ় হলেও আদতে যেন বাচ্চাই। আসলে নিজের মধ্যে এই সরল খুদেকে বাঁচিয়ে রাখাই হয়তো প্রত্যেকের চ্যালেঞ্জ। সেই সরলতাই ছাপ ফেলে একজন সৃষ্টিশীল মানুষের সৃষ্টিতে। কিন্তু সে তো ব্যক্তিগত স্তরের কথা। এত কথা তো শিশুরা বোঝে না। কিন্তু সামাজিক চাপে তাদেরও শৈশব চুরি যেতে বসেছে। এমনিতেই তো ইঁদুর দৌড়ের সময়। মুখে আধো বুলি ফুটতে না ফুটতে ছড়ার মুখস্তের চাপ ঘাড়ে চেপে বসে। হাজারও বায়নাক্কা, হাজারও ঝক্কি সয়ে সয়ে বড় হয়ে ওঠা। এসবেই যেন শৈশব ভারাক্রান্ত। একটু অবসর হয়তো এই বিকেলে। যখন পার্কের ধুলো-ঘাসে লুটোপুটি খায় শৈশব। আত্মকেন্দ্রিক ফ্ল্যাটবাড়ির দরজা লক হলে সকলে সকলের হাত ধরে মেতে ওঠে খেলায়। কিন্তু পুজোর মরশুমে তারও জো নেই। থিমের বাহার দেখাতে অধিকাংশ পুজো উদ্যোক্তারাই পাড়ার পার্কগুলিকে দখল করে নিয়েছেন। ফলে শরতের ঝকঝকে দিনেও কোথাও যেন শিশুদের চোখে হতাশার ছায়া। নজর এড়ায়নি পরিচালকের। তাই তাঁর আবেদন, প্যান্ডেলের জন্য পুজো উদ্যোক্তারা যেন পুরো পার্ক দখল না করে নেন। খানিকটা যেন অন্তত বাকি রাখা হয়। যাতে দিনের শেষে খুদেদের খেলাধুলো ব্যাহত না হয়।
এর আগে বাচ্চাদের রিয়ালিটি শো বন্ধেরও আবেদন করেছিলেন পরিচালক। এবার আবার বাচ্চাদের জন্যই সরব হতে দেখা গেল তাঁকে।
The post পাড়ার ছোট্ট পার্কটিকে রেহাই দিন পুজো উদ্যোক্তারা, আবেদন সুজিতের appeared first on Sangbad Pratidin.