সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: শিনা বোরা হত্যা মামলায় চাঞ্চল্যকর মোড়। বাস্তবে নয় ক্যামেরার সামনে। ডকুসিরিজের আকারে দেখা যাবে ২০১৫ সালের এই সাড়া ফেলে দেওয়া ঘটনা। যার কেন্দ্রে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়। শিনা বোরা হত্যা মামলার মূল অভিযুক্ত। ‘দ্য ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় স্টোরি: বারুট ট্রুথ’ (The Indrani Mukerjea Story: Buried Truth) নামের এই ডকুসিরিজের ফার্স্ট লুক আগেই প্রকাশ্যে এসেছিল। এবার সামনে এল ট্রেলার।
২০১৫ সাল। গোটা দেশ চমকে উঠেছিল এক বেসরকারি মিডিয়ার কর্ণধার ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়ের গ্রেপ্তারিতে। কী অভিযোগ ছিল তাঁর বিরুদ্ধে? নিজের মেয়ে শিনা বোরাকে হত্যা করা (Sheena Bora murder case)। প্রথমে শোনা গিয়েছিল, শিনা ইন্দ্রাণীর বোন। কিন্তু পরে জানা যায়, শিনা ইন্দ্রাণী ও তাঁর প্রথম স্বামী সঞ্জীব খান্নার সন্তান। ২০০২ সালে সঞ্জীবের সঙ্গে সম্পর্ক ছেদ করে পিটার মুখোপাধ্যায়কে বিয়ে করেন ইন্দ্রাণী। প্রথমে পিটারের (Peter Mukerjea) কাছে নাকি নিজের মেয়েকে বোন হিসেবে পরিচয় দিয়েছিলেন ইন্দ্রাণী। পিটারের ছেলে রাহুলের সঙ্গে নাকি আবার শিনার সম্পর্কও গড়ে উঠেছিল।
[আরও পড়ুন: আদা-জল খেয়ে বাইশ গজে দৌড় সৌরভ-বনিদের, ‘আমরাই জিতব’ আশাবাদী ক্যাপটেন যিশু]
অভিযোগ, ২০১২ সাল থেকে শিনার কোনও খোঁজ পাননি রাহুল। শুধুমাত্র তাঁর ফোনে শিনার তরফ থেকে একটি ব্রেকআপ মেসেজ এসেছিল। সেই সময় নাকি ইন্দ্রাণী বলেছিলেন, শিনা আমেরিকায় চলে গিয়েছেন। শিনার খুনের ঘটনা প্রকাশ্যে আসে ২০১৫ সালে ভিন্ন একটি মামলায় ইন্দ্রাণীর গাড়ির চালক শ্যাম রাইয়ের গ্রেপ্তারির পরে। সে বছরের আগস্ট মাসে ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়কে শিনা বোরার খুনের অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইন্দ্রাণীর প্রাক্তন স্বামী সঞ্জীব ও বর্তমান স্বামী পিটারকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। ২০১৯ সালে পিটার-ইন্দ্রাণীর ডিভোর্স হয়। ২০২০ সালে পিটার শর্ত সাপেক্ষে জামিন পান। আর ছয় বছর আন্ডারট্রায়ালে থাকার পর ইন্দ্রাণী জামিন পান ২০২২ সালে। এবার এই ঘটনার কতটা ‘দ্য ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায় স্টোরি: বারুট ট্রুথ’ ডকুসিরিজে উঠে আসবে তা জানা যাবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি। সেদিন থেকে নেটফ্লিক্সে দেখা যাবে বাস্তবের এই গল্প। যা সিনেমার থেকেও বেশি চাঞ্চল্যকর হতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। কারণ, ট্রেলারের শেষ দিকে ইন্দ্রাণীকে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, ‘নিজের মেয়ে শিনা বোরাকে খুন করেছেন?’ ঠান্ডা চাহনিতে চূড়ান্ত ব্যঙ্গ মিশিয়ে তিনি বলেন, ‘কী বোকা প্রশ্ন!’