বোরিয়া মজুমদার: মানুষটার অর্জনই এমন ঐশ্বরিক, তাঁকে তো ঈশ্বরজ্ঞানে অনেকে পুজো করবেনই। কী করে একজন মানুষ শচীন (Sachin Tendulkar) হয়ে ওঠেন, তা যেন বহুজনের কল্পনারও অতীত। দেশের জনসাধারণ তবু শচীনকে আপনজনই ভাবেন। কেউ কেউ হয়তো শচীনকে দেখতে দেখতেই বড় হয়ে উঠেছেন। আবার গোটা ভারতবর্ষকে যেভাবে শচীন অপূর্ব ঐক্যের বাঁধনে বেঁধে ফেলতে পারেন, তা-ও বিস্ময়কর। এক্ষেত্রেও তিনি অদ্বিতীয়। শচীনের অনুরাগীদের মধ্যে একজন ছিলেন সুরসম্রাজ্ঞী প্রয়াত লতা মঙ্গেশকর। তাঁর একটি গানের কথাই মনে পড়ছে, ‘তু জাঁহা জাঁহা চলে মেরা সায়া সাথ হোগা’ – এ যেন দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদেরই মনের কথা।
শুধু একজন ক্রিকেটারের পরিচয়ে শচীন কখনই সীমায়িত নন। ২০০৮-এ মুম্বইয়ে সন্ত্রাস হামলার পর শচীনকে একটা বিজ্ঞাপনে দেখা গিয়েছিল, যেখানে তাঁকে বলতে শোনা গিয়েছিল, ‘আই প্লে ফর ইন্ডিয়া, নাউ মোর দ্যান এভার’। কয়েক সপ্তাহ পরে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেঞ্চুরি করে ম্যাচ জিতিয়ে শচীন জানিয়েছিলেন, দেশের মনোবল বাড়িয়ে তুলতে এই সামান্য কাজটিই তিনি করতে পারেন। ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে যে সেনাকর্মীরা প্রাণপাত করেছেন, তাঁদের প্রতি এটাই ওঁর শ্রদ্ধার্ঘ্য। এই-ই হলেন শচীন তেণ্ডুলকর। এমন এক চুম্বক যা গোটা দেশকে এক করে রাখে।
[আরও পড়ুন: সামনেই মাস্টার ব্লাস্টারের পঞ্চাশ, ‘শচীনের সঙ্গে মিল মূল্যবোধে’, বলছেন স্ত্রী অঞ্জলি তেণ্ডুলকর]
‘বাহ্ শচীন’ সংখ্যার সম্পাদনায় প্রণোদনা জুগিয়েছে সেই অমোঘ আকর্ষণই। এই দেশের প্রায় সব ক্ষেত্রের কৃতীরা উদযাপন করেছেন শচীন নামের অত্যাশ্চর্য ঘটনাটিকে। অন্তর থেকে কাউকে ভালবাসলে গভীরতম অনুভূতিই উঠে আসে কলমে। এই লেখাগুলির প্রত্যেকটিতেই আছে সেই ছাপ। নিবিড় অনুভূতিমালায় সাজানো এই সংখ্যা দিয়েই আমরা বলতে চাই শুভ ৫০তম জন্মদিন, শচীন। আর শচীন-অনুরাগীদের বলি, অপেক্ষা কীসের! আসুন, মেতে উঠি এই শচীন-পার্বণে! (অতিথি সম্পাদক)