পর্তুগাল – ৩ (নানি, রোনাল্ডো ২)
হাঙ্গেরি – ৩ (গেরা, সুদসাক ২)
হোসে ব়্যামিরেজ ব্যারেটো: একটুও অবাক নই৷ শুধুমাত্র ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডোর ক্ষেত্রেই এমন হল না৷ এর আগেও অগুনতি তারকারা এভাবেই ফিরে আসার রাস্তা বের করেছেন৷ জবাব অনেক সময় মুখে দিলে হয় না৷ রোনাল্ডো বোঝালেন, তিনি তারকা৷ তাকে নিয়ে ব্যঙ্গ করলে পাল্টা আঘাত পেতে তৈরি থাকতে হবে৷ অনেক ফুটবল সমর্থককে বলতে শুনছি, রোনাল্ডো ছাড়া এই পতুর্গাল দলটায় আর কিছুই নেই৷ এটাই তো হওয়ার! যে দলে মেসি থাকবেন, সেখানে আর কাকে নিয়ে আলোচনা হবে বলুন তো! যেখানে তারকারা থাকেন সেখানে শুধুই তাঁদের নিয়েই আলোচনা হয়৷ তা ছাড়া রোনাল্ডো বরাবর পর্তুগালে ত্রাতার ভূমিকা নিয়েছে৷ ওঁর মধ্যে এই ওয়ার্কলোড নেওয়ার ক্ষমতা রয়েছে৷ সঠিক সময় কেউ যদি দলকে গর্ত থেকে টেনে তুলতে পারেন, সেটা রোনাল্ডো৷ এদিনও তো তাই হল৷ দু’টো গোল ওঁর৷
পতুর্গালও পরের রাউন্ডে চলে গেল৷ দারুণ একটা ম্যাচ৷ এতগুলো গোল মানেই মনোরঞ্জন৷ দর্শকরা তো এমন ম্যাচই ভালবাসেন৷ তবে পতুর্গালের ড্র করার ব্যাপারটা অবশ্যই দুঃখের৷ গ্রুপের একটাও ম্যাচ রোনাল্ডোরা জিততে পারল না৷ এবার কিন্তু তেমন একটা কঠিন গ্রুপে পড়েনি পতুর্গাল৷ একটা ম্যাচ অন্তত জিতে থাকলে দলের আত্মবিশ্বাস ভাল জায়গায় থাকত৷
ইউরোর মতো বড় টুর্নামেন্টে সাফল্য পাওয়ার অন্যতম শর্ত হল, ভাল রক্ষণ৷ সেটা কিন্তু পতুর্গালের একেবারেই নেই৷ পর পর তিনটে ম্যাচে সেটা দেখা গেল৷ পতুর্গাল নক-আউট পর্বে গেল ঠিকই৷ কিন্তু এরকম দুর্বল রক্ষণ নিয়ে কতদূর এগোতে পারবে তা নিয়ে সন্দেহ থেকে গেল৷
রোনাল্ডোর উপর প্রচুর চাপ ছিল৷ গত ম্যাচে পেনাল্টি মিস৷ তার আগের ম্যাচেও গোল নেই৷ কিন্তু দিনের শেষে তিনিই নায়ক৷ আসলে চাপ নিয়ে পারফর্ম করতে পারলেই তারকা হওয়া যায়৷ চারটি ইউরোতে গোল এল তাঁর পা থেকে৷ রোনাল্ডোর নাম এমনিতেই ইতিহাসের পাতায় থাকবে৷ তবে চাইব, সিআর সেভেনের পায়ের যাদুর সুবাদে পতুর্গালও যেন এবার ইতিহাসে নাম তুলতে পারে৷ রোনাল্ডোপ্রেমীরাও তাই চাইবেন!
এদিকে, ম্যাচের আগে অতিরিক্ত প্রত্যাশার চাপে নিজের পারফরম্যান্সে বিরক্ত রোনাল্ডো ঠিক কতটা চটেছেন তার প্রমাণ মিলল বুধবার সকালে৷ সন্ধ্যায় হাঙ্গেরির সঙ্গে কঠিন ম্যাচ৷ তার আগে একটু হাল্কা হতে সতীর্থদের সঙ্গে একটু ঘুরতে বেরিয়েছিলেন পর্তুগিজ স্ট্রাইকার৷ সঙ্গে সঙ্গে পাপারাজ্জিদের হামলা৷ পর্তুগিজ চ্যানেল সিএমটিভির রিপোর্টার সামনে হাজির হতেই মেজাজ হারালেন রোনাল্ডো৷ হাঙ্গেরি ম্যাচ নিয়ে প্রশ্ন করতেই সংশ্লিষ্ট রিপোর্টারের হাত থেকে মাইক্রোফোন কেড়ে লেকে ছুড়ে ফেলে দিলেন৷
সতীর্থ ফুটবলার এবং দলের সঙ্গে থাকা নিরাপত্তাকর্মীরা দ্রুত রোনাল্ডোকে সরিয়ে নিয়ে যান৷ পর্তুগিজ কোচ স্যান্টোস প্রথম থেকেই রোনাল্ডোকে আড়াল করার চেষ্টা করে গিয়েছেন৷ বুধবার সকালের ঘটনার পরও করেছেন৷ “গোল না পাওয়ায় ও নিজের উপরও বিরক্ত৷ খেলায় ফোকাস করছে৷ একটু বাইরে বেরিয়েছিল৷ সেখানেও যদি মিডিয়ার লোকে ধাওয়া করে, তা হলে বিরক্তি আসবেই৷’’
The post সমালোচনার জবাব দিয়ে জোড়া গোল রোনাল্ডোর appeared first on Sangbad Pratidin.