সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: জার্মানদের দেশ জার্মানি। ব্রিটিশদের দেশ ব্রিটেন। তেমনই হিন্দুদের দেশ হিন্দুস্তান। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তা অন্যদের নয়। হিন্দুস্তান হিন্দুদের তো বটেই, তেমনই যাঁরা ভারতীয় সংস্কৃতি মেনে নিয়েছেন তাঁদেরও। ঠিক এভাবেই পড়ুয়াদের শিক্ষা দিলেন আরএসএস প্রধান মোহন ভাগবত।
[ বৃন্দাবন তীর্থস্থান, যোগীর ফরমানে তাই নিষিদ্ধ মদ-মাংস ]
আরএসএস-এর ভাবাদর্শ মেনে নিয়েছেন যে কলেজ পড়ুয়ারা, তাঁদের সামনেই বক্তৃতা রাখছিলেন ভাগবত। সেখানেই তিনি ভারতবর্ষকে নতুন করে চিনিয়ে দিলেন তরুণ প্রজন্মের সামনে। জানালেন, হিন্দু এই শব্দের বিস্তৃতি অনেকখানি। যাঁরা ভারতামাতার সন্তান তাঁরাই হিন্দু। পুরুষানুক্রমে যাঁরা এই ভূমিতে বসবাস করছেন তাঁরা যেমন হিন্দু, ঠিক তেমনই যাঁরা ভারতীয় সংস্কৃতিকে নিজেদের মনে করে এ দেশে থেকে গিয়েছেন তাঁরাও হিন্দু। তাঁর এই বার্তার পিছনে অবশ্য একটি প্রেক্ষাপট আছে। সাম্প্রতিক অতীতে বারবার মুঘলদের সম্পর্কে বিষোদ্গার করতে দেখা গিয়েছে কেন্দ্রীয় শাসকদলের বিভিন্ন নেতা মন্ত্রীকে। যার ফলে আঙুল উঠেছে আরএসএস ভাবাদর্শের দিকে। অনেকেই মনে করেছেন দেশের ইতিহাস বদলে দেওয়ার জন্য খড়্গহস্ত সংঘ পরিবার। এদিন কৌশলে পড়ুয়াদের সামনে তা নাকচ করলেন ভাগবত। জানিয়ে দিলেন ভারতবর্ষ বা হিন্দুস্তানের অর্থ আরও অনেক গভীর ও সম্প্রসারিত। সংকীর্ণ ভাবনায় তা বদ্ধ করে রাখা যায় না।
[ আইএস জঙ্গিদের মদত প্রবীণ কংগ্রেস নেতার, অভিযোগে শোরগোল ]
এদিন উন্নয়ন প্রসঙ্গেও মুখ খুলেছেন ভাগবত। জানিয়েছেন, সরকারের মুখাপেক্ষী না থেকে সামজে ভাবনার বদল প্রয়োজন। তবেই দেশের যথার্থ উন্নয়ন সম্ভব। তাঁর বক্তব্য, আগে কোনও কিছুর জন্য মানুষ ভগবানের দিকে তাকিয়ে থাকত। এখন সরকারের দিকে তাকিয়ে থাকে। কিন্তু এটা যথার্থ নিয়ম হতে পারে না। সরকারেরও সীমাবদ্ধতা থাকে। কিন্তু সমাজের অভ্যন্তরে যদি বদল আসে, তবেই উন্নয়নের গতিমুখ খুলে সায়। যে কোনও স্তরে বিভেদ মেটাতে পারলেই দেশ সঠিকভাবে বিশ্বে মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে বলেই মত তাঁর। সব মিলিয়ে তরুণ পড়ুয়াদের সামনে সংকীর্ণতা মুক্ত হওয়ারই বার্তা দিলেন সংঘ প্রধান।
The post ‘হিন্দুস্তান হিন্দুদেরই, তবে সেখানে সকলেরই জায়গা আছে’ appeared first on Sangbad Pratidin.