সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ২০২২-২০২৩ আর্থিক বর্ষের কেন্দ্রীয় বাজেট (Union Budget 2022) পেশ হয়েছে মঙ্গলবার। অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমণের সেই বাজেট পছন্দ হয়নি বিরোধীদের। গতকাল কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধী সমালোচনা করেন, গরিব, মধ্যবিত্ত ও যুবকদের কথা ভাবা হয়নি মোদি সরকারের বাজেটে। যদিও এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি (PM Narendra Modi) দাবি করলেন, বাজেটের প্রশংসা করছে সকলে। দেশকে সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাবে এই বাজেট। তবে আগের নীতিগত ভুল শোধরানোর চেষ্টা হচ্ছে বলেও জানান মোদি।
বাজেট পেশের পরদিন বুধবার গোটা দেশের বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে ভারচুয়াল আলাপচারিতা- ‘আত্মনির্ভর অর্থ ব্যবস্থা’য় অংশ নেন মোদি। সেখানে তিনি বলেন, “মহামারী পরবর্তী বিশ্বে পরিবর্তন আসবে। করোনার সঙ্গে দেশ লড়ছে। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় অর্থ ব্যবস্থারও অনেক বদল হয়েছে। আধুনিক ভারতের নির্মাণের কথা ভেবেই গতকাল বাজেট পেশ হয়েছে। সংকল্প নিয়ে দেশকে এগতে হবে, এবার ঘুরে দাঁড়াতে হবে আমাদের।” সেই সঙ্গে তিনি বলেন, “আগের নীতিগত ভুল শোধরানোর চেষ্টা হচ্ছে।”
[আরও পড়ুন: বিজেপিতে এসে মিলল না টিকিট, লখনউয়ের প্রার্থী তালিকায় নেই মুলায়মের ‘ছোটি বহু’র নাম]
উল্লেখ্য, কৃষক আন্দোলনের জেরে তিন কৃষি আইন তুলে নিতে বাধ্য হয়েছে মোদি সরকার। সামনেই দেশের পাঁচ রাজ্যে ভোট। এই অবস্থায় নীতিগত ভুল শোধরানোর কথা বলে কৃষি আইন থেকে পিছিয়ে আসার কথা স্মরণ করিয়ে দিলেন বলে ওয়াকিবহাল মহলের একটি অংশের মত। পাশাপাশি গত কংগ্রেস সরকারের আমলের ভুলভ্রান্তি শোধরানো হচ্ছে বলেও বার্তা দিলেন মোদি।
এদিন রাহুল গান্ধীর বাজেট সংক্রান্ত বক্তব্য খণ্ডন করেন মোদি। বলেন, “গরিব, মধ্যবিত্ত ও যুবকদের কথা ভাবা হয়েছে এই বাজেটে।” মানুষকে বিভ্রান্ত করা হচ্ছে বলেও নাম না করে বিরোধীদের তোপ দাগেন মোদি। বলেন, “দেশের খেলায়াড়দের উৎসাহ দেওয়া হয়েছে এই বাজেটে। বরাদ্দ বাড়ানো হয়েছে।” প্রধানমন্ত্রী কিষাণ নিধি প্রকল্প ও অন্য প্রকল্পের আওতায় এই বাজেটে কৃষকদের সুবিধা অসুবিধা নিয়ে গুরুত্ব সহকারে ভাবা হয়েছে বলেও দাবি করেন। দেশে প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ সাতগুণ বেড়েছে বলেও জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: উত্তরপ্রদেশকে অপমান করেছেন নির্মলা সীতারমণ! অর্থমন্ত্রীকে তোপ প্রিয়াঙ্কা গান্ধীর]
বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে দীর্ঘ আলাপচারিতায় দেশের সামগ্রিক বিকাশের কথা তোলেন মোদি। তথ্য পরিসংখ্যান সহকারে কেন্দ্রের কাজের তালিকা তুলে ধরেন। বলেন, “দেশের অর্থব্যবস্থা ২ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকায় পৌঁছে গিয়েছে। কেন্দ্রের বাজেটে দেশের অর্থব্যবস্থা আরও মজবুত হবে। ৪ কোটি বাড়িতে জল সরবরাহের লক্ষ্য রয়েছে কেন্দ্রের। গরিবের জন্য ৮০ লক্ষ পাকা বাড়ি তৈরি করা হবে। নতুন পাকা বাড়ি তৈরির জন্য ৪৮ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ হয়েছে। মহিলাদের নামে বাড়ির মালিকানা দেওয়া হবে।”